ভারতের ক্রিকেটে চলছে বিসিসিআই বনাম বিরাট কোহলি যুদ্ধ। ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনো বিরাজমান। বিশেষ করে ভারতীয় বোর্ড সভাপতি ও দেশটির সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে কোহলির দূরত্ব বাড়ছে দিন দিন। একপক্ষ সৌরভের হয়ে কথা বলছেন। অন্যপক্ষ কোহলির হয়ে ব্যাট ধরছেন।
ভারতীয় ক্রিকেটের সৌরভ-কোহলি বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। কোহলির পক্ষে ব্যাট ধরলেন আফ্রিদিও। তবে বললেন, ‘বিষয়টি যত টানাটানি হবে, তত তেতো বের হবে’।
পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বুমবুম আফ্রিদি বলেন, ‘ কোহলির বিষয়টি আরও ভালোভাবে সামলানো যেত। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, এ ধরনের বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা না বলে, মুখোমুখি কথা বলতে হবে এবং সমাধান বের করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে যত টানাটানি করা হবে, তত বিষয়টি বিগড়ে যাবে, তেতো হবে। আমি মনে করি, যে কোনো বিষয়ে নির্বাচক কমিটিকেই নির্দিষ্ট ওই খেলোয়াড়ের স্পষ্টভাবে বলতে হবে যে, এটা আমাদের পরিকল্পনা এবং এটা দলের জন্য ভালো হবে। এ বিষয়ে সেই খেলোয়াড়ের মতামতও জানতে হবে। মিডিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের বিষয় জানতে পারলে সমস্যা হবেই। খেলোয়াড় ও বোর্ডের মধ্যে অনেক সমন্বয় থাকা উচিত।’
নিজ দেশের বোর্ডের প্রসঙ্গ টেনে আফ্রিদি বলেন, ‘পাকিস্তানে যেমন খেলোয়াড় এবং পিসিবির মধ্যে যোগাযোগের ব্যবধান যেমন থাকা উচিত নয়, তেমনি বিশ্বের যে কোনো বোর্ডের ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য।’ উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের পর পরই টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। তবে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না কোহলি।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর, ৫০ ওভারের ম্যাচের নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় সৌরভের বোর্ড। কোহলি থেকে কোনো জবাব না মিললে ৪৯তম ঘণ্টায় তাকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিসিআই। বিষয়টিকে অধিনায়কত্ব থেকে কোহলিকে ‘বরখাস্ত’ করা হয়েছে বলে জানায় অনেক ভারতীয় গণমাধ্যম। পরে সৌরভ জানান, কোহলির সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার পরই নির্বাচকরা এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোহলির দাবি, এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।