নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে বাড়ি ভাড়ার পাওনা ১৫শ’ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মেহেদী (৪৮) নামে এক ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টায় শহরের নলুয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যু নিয়ে পরিবারের দাবি, মেহেদীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়া মেহেদীকে ধাক্কা দিলে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে স্ট্রোক করে মারা যান।মৃত মেহেদী একই এলাকার মৃত ফজল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মৃতের ছেলে আমিন জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত তারা বাড়িওয়ালা রানার তিনতলা বাড়িতে ভাড়া থাকছেন। চলতি নভেম্বর মাসের ভাড়া নিতে তাকে ক্রমশই চাপ দিচ্ছিলেন রানা। রাতে পাওনা ১৫শ’ টাকা ভাড়া চাইতে এলে আগামীকাল দেবে বলে জানান আমিন।কিন্তু বাড়িওয়ালা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তার বাবা মেহেদী এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু বাড়িওয়ালা তা না শুনলে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় বাড়িওয়ালা রানা, তার বোন পিংকি ও সুমন লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করলে মেহেদী মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।
আহতাবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মেহেদীর মৃত্যু নিয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, ভাড়া নিয় দ্বন্দ্বের জের ধরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মেহেদীকে ধাক্কা দিলে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।
অপরদিকে, ঘটনার পর স্থানীয়রা মেহদীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির হোসেন। পরে সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামানও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট (ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। অভিযুক্তদের আটক করার চেষ্টা করছি। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। মেহেদীর লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।