সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মহম্মদপুরে বৃদ্ধকে জনসম্মুখে মাথা ন্যাড়াসহ গোঁফ কেটে দেওয়ার অপরাধে ত্রিনাথ শীলকে আটক করেছে পুলিশ মহম্মদপুরের দীঘা ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে স্বামী -স্ত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা – ভিভিও লিংক বন্ধুকে হত্যা করে, বন্ধুর বাইকেই ঘুরে বেড়াল তার বান্ধবীকে নিয়ে। মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মহম্মদপুরের চাকুলিয়ায় আকস্মিক হামলায় আহত ৬ বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট ! মাগুরার শ্রীপুরে ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি ভেঙ্গে, আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহম্মদপুরে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির ঈদ পুনর্মিলন উদযাপন গ্রিন মাগুরা ক্লিন মাগুরা আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন জেলা প্রশাসক মহম্মদপুরে বেসরকারি ভাবে আ:মান্নান চেয়ারম্যান নির্বাচিত মহম্মদপুরে ছাত্র-ছাত্রী বিহীন চলছে এমপিও প্রতিষ্ঠান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠান মাগুরায় পুলিশের অভিযানে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক তিন মহম্মদপুরে ৩২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে আটক ১ মহম্মদপুরে দেশীয় অস্ত্র সহ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার শ্রীপুরে বিশেষ আয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটের বাৎসরিক আনন্দ ভ্রমণ শেষ পৌষের কনকনে শীতে কাঁপছে মাগুরা! মাগুরার মহম্মদপুরে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বড়রিয়ার মেলা শুরু!
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

মসজিদের সঙ্গে আত্মার বন্ধন হোক মজবুত

মাগুরার কথা ডেক্স / ২৯১ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন

পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দনীয় স্থান মসজিদ। যে মুমিন নামাজের স্বাদ পেয়েছে তার কাছে মনে হবে যেন দুনিয়ার সব সুখ মসজিদের জায়নামাজের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এটিই তার কাছে সবচেয়ে বেশি শান্তির জায়গা, তাই মসজিদের প্রতি থাকে তার এক গভীর আকর্ষণ। সে যেখানেই থাকুক না কেন, তার হৃদয় থাকে মসজিদের সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ।তাই তো প্রতিদিন অন্তত পাঁচবার আজান শুনে ছুটে আসে মসজিদে, নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মসজিদগুলো আল্লাহর জন্য। সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে ডেকো না (সুরা জিন-১৮)। রসুল (সা.) বলেছেন, যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়াই থাকবে না, সেদিন সাত শ্রেণির লোককে তিনি তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন, যাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি (বুখারি)। নবীজি বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে পবিত্রতা অর্জন করে ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশে আল্লাহর ঘরের দিকে যায়, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং দ্বিতীয় পদক্ষেপে তার একটি মর্যাদা উন্নীত করা হয় (মুসলিম)। মুসলমান মাত্রই আজানের ধ্বনি শুনে আবেগাপ্লুত হবেন, আমোদিত হবেন, কারণ আজান হলো আল্লাহতায়ালার একত্ববাদ ও তাওহিদের মহান আওয়াজ। মসজিদের মিনার থেকে মুয়াজ্জিন দৈনিক পাঁচবার আজানের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। উচ্চ আওয়াজে প্রচারিত আল্লাহর একত্ববাদের এই ঘোষণার মাধ্যমে মূলত বান্দা মহান প্রভুর বশ্যতার ঘোষণা দেয়।অবনত চিত্তে স্বীকার করে আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনের গভীর থেকে নবী (সা.)-এর নবুওয়ত-রিসালাতের সাক্ষ্য দেয় পরম বিশ্বাসের সঙ্গে। সুতরাং এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জামাতে শামিল হওয়া ইমানের দাবি। অনেক জায়গায় দেখা যায়, আজান হয় কিন্তু কাতার পূর্ণ হয় না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ভালোভাবে অজু করলে পাপ মুছে যায়।

বেশি বেশি মসজিদে গেলে পাপ ঝরে পড়ে। এক সালাতের পর আরেক সালাতের জন্য অপেক্ষা করলেও পাপ ঝরে যায়। তা আল্লাহর পথে পাহারার সমতুল্য (মুসলিম)। আমাদের গুনাহর বোঝা হালকা করতে প্রভুর দরজার ফকির হতে হবে। নবীজি (সা.) বলেছেন, যারা অন্ধকারে মসজিদে যায়, কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা তাদের পেছনে পরিপূর্ণ আলোর ব্যবস্থা করবেন (আবু দাউদ)। হাকিম আল-মুসতাদরাকের ১/২১১ নং হাদিসে রসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়, তার সঙ্গে দুজন লেখক ফেরেশতা মসজিদের পথে প্রতিটি পদক্ষেপের বদলে তার জন্য ১০টি নেকি লেখেন। আর যে ব্যক্তি মসজিদের সালাতের অপেক্ষায় বসে আছে সে ইবাদতকারীর মতোই; সে বাড়িতে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তাকে মুসল্লি হিসেবে গণ্য করা হয়। কবি আল মাহমুদ ‘কালো চোখের কাসিদা’য় লেখেন- ‘তুমি কি শুনতে পাও অন্য এক মিনারের আজান?
কলবের ভিতর থেকে ডাক দেয়, নিদ্রা নয়, নিদ্রা নয়, প্রেম। ’
মুয়াজ্জিনের আজানের সঙ্গে বান্দার আত্মায় আরেক আজান ধ্বনিত হয়। অন্তরের কান থাকলেই কেবল সে আজানে সাড়া দিয়ে গভীর ঘুম, কনকনে শীত আর ঘরের মায়া ত্যাগ করে জামাতে শামিল হওয়া যায়। যাদের আত্মা সজাগ নেই তারাই কেবল আজানের মুগ্ধতা উপলব্ধি করতে পারে না। আজান শুনেও ঘর, পরিবার-পরিজন, ব্যস্ততার ওপর প্রভুর স্মরণকে স্থান দিতে পারে না। প্রিয় পাঠক। আত্মিক প্রশান্তি লাভ, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও ইমান আমলের উন্নত করতে মসজিদের সঙ্গে আত্মার বন্ধন মজবুত করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।

লেখক : মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!