নতুন চকচকে সড়ক। পাশেই নবনির্মিত ফুটপাতের পাশে রং-তুলির আঁচড়ে সৌন্দর্যের আভা ছড়াচ্ছে দেয়াল। ‘গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি’ সিটি খ্যাত রাজশাহীর অনেক সড়কের পাশেই এমন কারুকাজের সৌন্দর্য নিমিষেই চোখে পড়ে। আর এই সৌন্দর্যের ছোঁয়ায় নিজের চোখ রাঙিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করেন নগরবাসী।াকিন্তু রাজশাহী নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল’র মূল ফটকের পাশের দেয়ালের নান্দনিক এমনই কারুকাজের পাশে দিয়ে চলাচলকারীদের মুখে রুমাল এঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। কারণ এই সৌর্ন্দের পাশেই এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই।বিগত তিন বছরের অধিক সময় ধরে নগরীর এই দেয়ালের পাশেই প্রায় সব সময়ই কোন কোনো ব্যক্তিকে প্রসব বিসর্জন দিতে দেখা যাচ্ছে। যেটা অনেকের কাছেই ‘প্রস্রাব বিসর্জন প্রদর্শনী কর্নার’র হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। আর তাই এই প্রদর্শনীর গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে এই স্কুল ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ পথচারীরা মুখে রুমাল এঁটে চলাচল করছেন।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাজশাহী কলেজের মূল ফটকের প্রায় ১০ ফুট দূরের দেয়ালের শেষ সীমানা থেকে শুরু করে কলেজিয়েট স্কুলের দেয়ালের মূল ফটকের তিন-চার ফুট আগের এই জায়গাটি দীর্ঘ সময় ধরে ইচ্ছে মতো মানুষ প্রসব করে। করোনার মধ্যে রাস্তার সংষ্কার কাজ চলাকালে এই উপদ্রব আরও বেড়ে যায়। এখন রাস্তা হয়ে গেছে। ফুটপাতও হয়ে গেছে। তবে ফুটপাতটা এখনো ঠিক হয় নি। এরমধ্যে এই প্রস্রাব বিসর্জনও বন্ধ হয় নি। দিনকে দিন গন্ধের মাত্রা আরও বাড়ছে। অথচ এক-দেড় মিটার দূরত্বেই সিটি করপোরেশনের টয়লেটের ব্যবস্থা আছে।রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কলেজের মূল ফটক থেকে বেরিয়েই প্র¯্রাবের গন্ধ পাওয়া যায়। যখনই এই পাশ দিয়ে যায়; কেউ না কেউ প্রসব করে। অনেকে দাঁড়িয়ে থেকে প্রস্রাব করে। গন্ধের সঙ্গে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে মেয়েরা বেশি বিব্রতকার অবস্থায় পড়ে।রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম বলেন, এটা নতুন না। অনেক আগে থেকেই এইরকম অবস্থা। কিন্তু কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এর পাশেই পুলিশ ডিউটি করছে। এরাও পাবলিক প্লেসে এইভাবে প্রস্রাব করতে নিষেধ করে না। সেখানে আমরা আর কি বলতে পারি।এ বিষয়ে কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নূর জাহান বেগম জানান, স্কুলের সামনে এমন একটা পরিবেশ এটা কখনোই স্বস্তিকর না। শুধু ওইটাই না- প্রধান ফটকের সামনেই ফুটপাত দোকানিরা বসে যাচ্ছে। এতে স্কুলের সামনের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যেও পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে অনেকবার রাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আর জনসচেতনতারও প্রয়োজন। এই বিষয়টিতে রাসিক, পুলিশ ও সাংবাদিক সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগের করা হলে তিনি জানান, এই রাস্তার কার্পেটিং কাজ কালকেই শেষ হয়েছে। ফুটপাতে হয়তো মাটি পড়ে থাকতে পারে। সেগুলো সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।