ঝিনু্ক টিভি ডেস্ক-
খুনের মামলায় অভিযুক্ত আসামি সাভারে আত্মগোপন করে আছেন, এমন তথ্য সখীপুর থানা-পুলিশের কাছে ছিল। কিন্তু বারবার অবস্থান পরিবর্তন করায় তাঁকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আসামিকে ধরতে অভিনব কায়দা বেছে নিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। রিকশাওয়ালা সেজে দুদিন রিকশা চালিয়ে আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। এরপর হাতেনাতে ধরেছেন আসামিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার সাভারে বৃহস্পতিবার বিকেলে। রিকশাওয়ালা সেজে আসামি ধরা ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ। গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে আসামি আবদুর রশিদকে (৩০) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সখীপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার ঘাটেশ্বরী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আবদুর রহিমের স্ত্রী আফরোজা আক্তার (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। আফরোজার দেবর আবদুর রশিদের বিদ্যুৎ লাইন থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন রশিদের চাচাতো ভাই জাবেদ আলী। এ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন রশিদ ও জাবেদ। একপর্যায়ে রশিদ ঘরে ঢুকে ছুরি এনে জাবেদের পেটে ঢুকিয়ে দেন। জাবেদের মামা জয়নাল আবেদীন এগিয়ে এলে তাঁকেও ছুরি মেরে পালিয়ে যান রশিদ। গুরুতর আহত জাবেদ ও জয়নাল আবেদীনকে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর মারা যান জাবেদ। এ ঘটনায় জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারি ঘটনার পর থেকে আবদুর রশিদ সাভারের সিআরপি এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কয়েকবার সাভার গিয়েও তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় রিকশাচালক সেজে অবস্থান নিই। আবদুর রশিদ ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। কাজ শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রশিদ এক দোকানের পাশে বসে চা খাওয়ার সময় ছদ্মবেশে ওই স্থানে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এভাবে ছদ্মবেশে আসামি ধরায় এসআই ফয়সাল প্রশংসিত হয়েছেন। এ সফলতার জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে।