শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের কালিন্চী গ্রামে পরিকল্পিতভাবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত।
শ্যামনগর সদর থেকে এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণে এলাকায় একটি চাঁদাবাজ চক্রের সৃষ্টি হয়েছে। এরা চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন মানুষ এবং চিংড়ি ঘের মালিকদের জিম্মি করার চেষ্টা করছে। কালিন্চী গ্রামের চাঁদাবাজ চক্রটি ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এদের লাগাতার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী হাজী সাহাবুদ্দীন বাবু।
চক্রটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এই চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী।
হাজী শাহবুদ্দিন বাবু জানান,গতকাল রোববার থেকে শ্যামনগরে অতি বর্ষার কারনে আবার সব কিছু ডুবে যায়। এই অতিবর্ষণে রমজাননগরের কালিঞ্চি এলাকার চাঁদাবাজ চক্রটি এলাকার কেরামত আলী, আব্দুল মাজেদ,আলম ভাঙ্গির নেতৃত্বে চিংড়ি ঘেরের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে। এই চক্রটির বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় চাঁদাবাজি ও মৎস্য ঘের লুটপাট মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে আসামীরা তার চিংড়ি ঘেরের ড্রেনের মুখ খুলে তলিয়ে যাওয়া এলাকার পানি তার চিংড়ি ঘেরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত করে ঘেরের রাস্তা ভেঙ্গে ঘেরের মাছ বের করে দিয়ে প্রায় কুড়ি(২০) লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। চাঁদাবাজ চক্রটি দলবল সহ কর্মচারীদের মারপিট করার জন্য ওৎ পেতে বসে থাকে বলে অভিযোগ জানান হাজী সাহাবুদ্দীন বাবু।
ঘটনাটি শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ মুর্শেদকে অবহিত করার পর তিনি সাথে সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি থানার এস আই নুর কামাল ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠান।এ সময় চাঁদাবাজ চক্রটি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।