শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে ৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সকাল দশটায় শ্যামনগর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের ১২ জন নারী ইউপি সদস্য প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার শ্যামনগর সভাপতিও জলবায়ু পরিষদ সদস্য অধ্যাপিকা শাহনা হামিদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ শ্যামনগর ও জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি খালেদা আইয়ুব ডলি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অন ষ্টাফ ক্রাইম সেল( ও সি সি) প্রণব বিশ্বাস। জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী জলবায়ু পরিষদের সদস্য ও সাংবাদিক রঞ্জিত বর্মন, জলবায়ু পরিষদ সদস্যও নকশী কাঁথা র নির্বাহী পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জি, শ্যামনগর উপজেলা জাসদ সাবেক সভাপতি ও জলবায়ু পরিষদের সদস্য হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, নাগরিক সংগঠন সিএসআরএল এর উদ্যোগে শ্যামনগরে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ইউপি সদস্যদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথিসহ আলোচকরা বলেন করোণা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের হার বেড়েছে। উপস্থিত ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব থেকে প্রতিনিয়ত নারীদের বিভিন্ন সমস্যা এবং নির্যাতনের বিষয়ে সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে সেই তথ্যগুলো আরো সুসংগঠিতভাবে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নারী নির্যাতনের বিষয়ভিত্তিক সমাধানের উদ্যোগ গুলো তুলে গ্রুপ ওয়াকের মধ্যেমে আলোচনায় তুলে নিয়ে আসা হয় নিয়ে আসা হয়। সমন্বিতভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ইউপি সদস্যর নারী প্রতিনিধিরা বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন , সে ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ ক্রাইম সেলের প্রধান প্রণব বিশ্বাস বলেন আপনি ঘরে বসে তথ্য পাবেন একজন নারী নির্যাতিত হলে আমাদের হটলাইন নাম্বার ১০৯ ফোন দিতে পারবেন দ্রুত আমরা পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনাদের সেবায় বসে আছি। উপস্থিত ইউপি সদস্য মুন্সীগঞ্জে ইউনিয়নের সেলিনা সাঈদ, শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দেলোয়ারা বেগম, কাশিমাড়ী ইউনিয়ন এর রওশন আরা বিধি, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মী রানী শীল, ঈশ্বরী পুর ইউনিয়নের হালিমা কামরুল, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের জাহানারা খানম, ভূরুলিয়া ইউনিয়নের রহিমা আক্তার বক্তব্য রাখেন ও দলীয় আলোচনায় সকল ইউপি সদস্য এলাকায় নারী নির্যাতনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন সমাধানের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তা বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।