কেশবপুরে গঠনতন্ত্র বর্হিভূত ও রাজাকার পিচ কমিটির সন্তানকে আওয়ামীলীগের কমিটিতে আহবায়ক করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোববার বিকাল ৪টায় সাগারদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,কৃষকলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল পেশার অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন।
সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান, ইউনিয়নে ৩০ বছরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধঅপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার বাদী মোঃ গাজীউর রহমান, আকবর সরদার, দীনু বন্ধ দত্ত পুতুল, গৌর চন্দ্র নন্দী, দিলিপ কুমার, হায়দার প্রমুখ। পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় ১ জানুয়ারী সাগরদাঁড়িসহ অন্য একটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এর পর রবিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে আগামী ৬০ দিনের জন্য (সাতবাড়িয়া ও সাগরদাঁড়ি) দুই ইউনিয়নে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, বরিবারে রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দ নৌকা বাদ দিয়ে আনারস এবং চশমা প্রতিকের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর পিছনে কাজ করার কারণে আমরা ওই কমিটি বিলুপ্ত করি। একটা ইউনিয়নে কমিটি ছাড়া চলতে পারে না সেই কারণে আপাতত ৬০ দিনের জন্য একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছি। উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করার কোনো সুযোগ নেই তবে। এই কমিটি বিবেচনা করে সামনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিবে এবং সামনে যখন কাউন্সিল হবে যারা যোগ্য ব্যক্তি তারা ঐ কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করবে তখন কে কমিটিতে আসবে, কে আসবে না, সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক হবে। তিনি আরো বলেন, বাসবাড়িয়ার রফিকুল ইসলাম যদি রাজাকারের ছেলে হয় তাহলে সে দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারির দায়িত্ব কিভাবে পালন করল।