বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট ও খুলনা হ্যারিটেজ মিউজিয়াম গুণীজন সম্বর্ধনা সুন্দরবন রত্ন- ২০২১ সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষকে অর্থবহ করে তুলতে খুলনা হ্যারিটেজ মিউজিয়ামের কার্যক্রম খুলনা জেলার সীমানা অতিক্রম করে বিভাগীয় পর্যায়ে সম্বর্ধনার আয়োজন করে। স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর মাস কে অর্থবহ করতে যশোরের ঝিকরগাছা আনন্দময়ী কমিউনিটি ক্লিনিক মাঠে দুপুর ১২ টায় এ সম্বর্ধনা
দেওয়া হয়েছে।
সম্বর্ধনায় বিভাগীয় পর্যায়ে উপকূলীয় এলাকায় কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উৎপাদন, প্রযুক্তির সম্প্রসারনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা কয়রা
উপজেলার কৃতি সন্তান ডঃ মোঃ হারুন অর রশিদকে সুন্দরবন রত্ন- ২০২১ এর সম্মনানা স্মারকে ভূষিত করা হয়। গুণীজন সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তমিজউদ্দীন খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মননা স্মারক তার হাতে তুলে দেন। সম্বর্ধিত অতিথির বক্তব্যে ডঃ হারুন অর রশিদ বলেন, সমাজ ও মানুষের পরিবর্তন ঘটেছে তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দৃষ্টি ভঙ্গি ও আচরণগত পরিবর্তন ঘটাতে পারলে দেশ তথা এ অঞ্চলে উন্নতি সাধন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কৃষি
উন্নয়নের যে জয়যাত্রা শুরু করেছিলেন, তার বাস্তবে রূপ দিতে বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণ ও দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গঠনের ধারাবহিকতায় কৃষিকে আধুণিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও বানিজ্যিকী করণের সমস্ত কার্যক্রম হাতে নিয়ে সে অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছেন। তাই আমরাও চাই বিদেশ থেকে কোন ফসলাদি আমদানী না করে দেশে কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে ফসল উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করতে সক্ষম হবো। এদিকে ডঃ হারুন অর রশিদ সুন্দরবন রত্ন-২০২১ পদক পাওয়ায় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
কয়রা খুলনা প্রতিনিধি
তারিখঃ- ০৫/১২/২১ ইং।