রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১১:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মাগুরার “হাজরাপুরের লিচু বিখ্যাত মাগুরায় কৃষকের পাশে ছাত্রলীগ জীবন যুদ্ধে হারতে বসেছে রিনা খাতুন! ৫২ বছরে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালো বঙ্গভবন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের শুভেচ্ছা মাগুরাবাসীকে পবিত্র ঈদ- উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. ওহিদুর রহমান টিপু মাগুরা মহম্মদপুরে ৩০ পিস ইয়াবা সহ যুবক আটক মোহনপুর মডেল প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ৮৫,০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করলেন মাগুরা জেলা পুলিশ মাগুরার বেরইল পলিতায় খুনের ঘটনায় ৮ ঘন্টার মধ্যে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ জন গ্রেফতার মোহনপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল সরকার মতিন বহিষ্কার হারানো ১১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক মোবাইলের প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। মোহনপুরে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখা  সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মানবিক সাহায্যের আবেদন মোহনপুরে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক মোহনপুরে শ্রমিকদলের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত মাগুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন মহম্মদপুরে চাচিকে বিয়ে করে শ্রী’ঘরে যুবক মাগুরায় লিচু ফুলের মধু আহরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাবিতে মাগুরা জেলা সমিতির সভাপতি শুভ শিকদার সম্পাদক মোঃ আল আমিন
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

সুপার সাইক্লোন আম্পানের এক বছরঃ ঘুরে দাড়াতে পারেনি সাতক্ষীরার কয়েক লাখ মানুষ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। / ৩৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

আজ সেই ভয়াল ২০মে। প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। লবণাক্ততার তীব্রতায় কৃষিকাজ হয়না বিধায় তীব্র অভাবগ্রস্থ অধিকাংশ মানুষ। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের আতঙ্কে এখনও তটস্থ সবাই। যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। চিকিৎসা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সংকটে বিপর্যস্থ উপকূলীয় এলাকার এখনও লক্ষাধিক মানুষ।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় গোটা সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়ে উপকূলীয় এলাকার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়ে ২ হাজারেরও বেশি। এখনো ডুবে আছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। এতে মাছের ক্ষতি হয় ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকার। কৃষিতে মোট ক্ষতি হয় ১৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের ক্ষতি হয় কমপক্ষে ৩০ কি. মি. সড়ক।
কাজ না থাকায় সেখানকার লোকজন বর্তমানে বেকার হয়ে পড়েছেন। আম্পানের এক বছর পার হলেও উপকূলীয় এলাকায় গৃহহীনের সংখ্যা এখনও দুই শতাধিক। বেড়িবাঁধের রাস্তার ওপর খুপড়ী ঘরে বসবাস তাদের।

শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আতাউর রহমান জানান, সুপার সাইক্লোন আম্ফানে তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নদী সংলগ্ন এলাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছিল। খোলপেটুয়া নদীর খরস্রোতা পানি লোকালয়ে ঢুকে রাস্তাঘাট, অবকাঠামো ও কোটি কোটি টাকার চিংড়ি মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়।উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মাটির ঘর বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হলেও মানুষের জীবন আজো স্বাভাবিক হয়নি।

আশাশুনি উপজেলার শুভদ্রকাটি গ্রামের আতাউর রহমান ও কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আবু সালেহসহ উপকুলীয় এলাকাবাসী জানান, তাদের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। সূপেয় পানির সংকট তীব্র। বেড়িবাঁধের অবস্থাও নাজুক। উপকূলীয় এলাকার এসব মানুষ সরকারের কাছে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের দাবি জানান।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসিম কুমার চক্রবর্তী জানান, প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার মানুষ এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেননি। আজও সেখানকার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব রয়েছে। একই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধগুলো রয়েছে ভয়াবহ অবস্থায়। দু’একটি জায়গায় সংস্কার করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে ভয়াবহ ফাটল। যে কোন সময় প্রবল জোয়ারের চাপে তা আবারও ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তিনি টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল এ অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলোর। প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে অতিসত্ত্বর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাধ সংস্কারের। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, পানিউন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনীসহ জেলার সংশ্লিষ্ট সংস্থা অক্লান্ত পরিশ্রম করাই বেড়িবাঁধগুলো প্রাথমিকভাবে সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি এসময় সাতক্ষীরা জেলাকে দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ঘোষণার দাবী জানান।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!