ইরান ও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ফের অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে বৃহস্পতিবার আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ২৭ ডিসেম্বর ফের শুরু হবে এ আলোচনা।
এ চুক্তি থেকে বের হয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তেহরানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বেশ কিছু শর্ত মানা বন্ধ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ভিয়েনায় দফায় দফায় আলোচনা হলেও কোনো সমাধান বের হয়ে আসেনি। উল্টো ইরান পরমাণু কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর কারণে চুক্তি অকার্যকর হয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরুর খবর এলো।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক এনরিক মোরা টুইটারে লেখেন, ভিয়েনায় আলোচনা পুনরায় ২৭ ডিসেম্বর শুরু হবে। জেসিপিওএ যৌথ কমিশন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ ও আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবে।
পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর নভেম্বরে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। সর্বশেষ সপ্তম দফার আলোচনা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। যে বৈঠকে সামান্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইরানের দাবি, ওয়াশিংটনের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির আওতায় যেসব নিষেধাজ্ঞা তেহরানের ওপর আরোপ করা হয়েছে সবগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর তা যাচাই করে দেখার জন্য সময় চায় দেশটি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ফের চুক্তি থেকে বের হয়ে যাবে না— এমন নিশ্চয়তাও চায় ইরান
পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক মিখাইল উলিয়ানভ বলেন, যদিও ছুটির সময় এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যথাযথ নয়। তবে পুনরায় আলোচনা শুরুর বিষয়টি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ইরানের কূটনীতিকরা অংশ নেবেন। এদিকে যদি পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা না যায় তবে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক রব ম্যালি।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের উত্তেজনা চলছে বহুদিন ধরে। যদিও ইরান দাবি করে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের দাবি, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পাঁয়তারা করছে।