সকালে ঐচ্ছিক অনুশীলন করে চলে গেছে সিরিজে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান দল। অনুশীলনে এসেছিলেন তাদের মাত্র ৫ জন ক্রিকেটার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুরে বাংলাদেশ দল অনুশীলনে নামে। সকালে এসে নেট বোলারদের নিয়ে একাকী ব্যাটিং করেছেন সাকিব আল হাসান। পরে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে তিনিও যোগ দিলেন দলের সঙ্গে অনুশীলনে। ১৯ ক্রিকেটারকে নিয়ে মূল মাঠ, ইনডোরের নেটে ব্যস্ত সময় কাটান কোচরা।
সাকিব, মুশফিকের সঙ্গে লিটন দাস আছেন, মিডল অর্ডারের নির্ভরতা কার্যত পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। টিম ম্যানেজমেন্ট হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে টপঅর্ডারের সমাধান। যা পুরোই নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছে। গতকাল (২ ডিসেম্বর) ইনডোরের নেটে এক সঙ্গেই নাঈম শেখ ও মাহমুদুল হাসান জয়কে পাঠানো হলো।
নেটেই গলদঘর্ম অবস্থা টি-টোয়েন্টি থেকে হুট করে টেস্ট দলে ডাক পাওয়া নাঈমের। বলে-ব্যাটেই করতে পারছিলেন না তিনি। রেজাউর রহমান রাজার বাউন্সারে আপার কাট খেলতে গিয়েও ব্যর্থ হলেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স কিছু একটা বললেন নাঈমকে। তার পরই তাকে সরিয়ে আনা হয়, হালকা নকিং করতে পাশের নেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, মাহমুদুল হাসান জয় ব্যাটিং করে গেলেন লম্বা সময়। বৃহস্পতিবার দলসূত্রে জানা গেছে, যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ডানহাতি এ ব্যাটারের ওপরই এখন টিম ম্যানেজমেন্টের চোখ। সাইফ হাসান ছিটকে পড়ায় জয়কে ঘিরেই মিরপুর টেস্টের টপঅর্ডারের ছক কষছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। মিরপুরে অভিষেক হয়ে যেতে পারে এ তরুণের।
লিটন ও শান্তকে ওপরে ওপেনিংয়ে পাঠানোর আলোচনা হয়েছে বৈকি। তবে লিটন রান পেয়েছেন আগের টেস্টেই। তাই তার পজিশন পরিবর্তন করার ইচ্ছে নেই। শান্তকেও তিন নম্বর থেকে নড়াতে চায় না দল। লাল বলে নিজের অনভ্যস্ততার বিষয়টি নেটেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন নাঈম। সবকিছু ঠিক থাকলে মিরপুরে সাদমানের সঙ্গে ওপেনিং করতে পারেন জয়। এমনকি মিরপুরে ইনজুরি মুক্ত হয়ে আসা তাসকিন আহমেদকে খেলানোর সম্ভাবনাও কম।
চট্টগ্রামের মতোই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে ভালো উইকেটে খেলতে চায় বাংলাদেশ। স্পিনিং উইকেটের চিন্তা কমে এসেছে। যদিও দলে স্বীকৃত চার স্পিনার আছেন। এমন উইকেটে খেলে ধীরে ধীরে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলি রাব্বিও বলেছেন, উইকেট যেমন হবে তেমন করেই খেলতে প্রস্তুত হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার মিডল অর্ডার এ ব্যাটার বলেছেন, ‘উইকেট কেমন থাকবে জানি না। সেটা দেখে ওটা যেমন আচরণ করে তেমন করে। মূল বিষয় হচ্ছে আমাদের যে প্রক্রিয়াটা আছে, সেটা চালিয়ে যেতে হবে। সবকিছু সাধারণ রেখে। উইকেট যেমন চায় তেমন ব্যাটিং করতে হবে।’