কেশবপুরে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপÿের হামলায় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছে। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সর ভর্তি করা হয়েছে।এসময় প্রতিপÿরা বসত বাড়ীতে হামলা-ভাংচুর,শস্নীলতাহানীর ঘটনা ঘটিছে।
থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,জমির বিরোধকে কেন্দ্র উপজেলার বেলকাটি গ্রামের মৃত ইকাম আলী মোড়লের ছেলে আব্দুর রহিমের সাথে প্রতিবেশী মৃত আনছার আলী গাজীর ছেলে কফিল উদ্দীন গাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে কফিল গাজীর ছেলে রানা গাজীর নেতৃত্বে ৫/৬ জন স্বশস্ত্র ব্যক্তি রহিম মোড়লের বাড়ীতে ঢুকে ঘরের দামী আসবাবপাত্র ভাংচুর করে।এঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা রহিম মোড়লের স্ত্রী আলেয়া বেগম(৫০) ও ছেলে ইউনুস আলী(৩২)কে মারপিট করে আহত করে। এসময় হামলাকারীরা ইউনুস আলীর স্ত্রীকে শস্নীলতাহানীসহ তার গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ১টি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত মা ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সর ভর্তি করা হয়েছে।এঘটনায় আব্দুর রহিম মোড়ল বাড়ী হয়ে রানা গাজী,কপিল উদ্দীন গাজী ও নার্গিস বেগমের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনের বিরম্নদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছে।এব্যাপারে কফিল উদ্দীন গাজীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দীন জানান,একটি এজাহার পেয়েছি, তদন্ত্মপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের চাঁদড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপÿরা হামলা চালিয়ে স্বামী স্ত্রীকে মারপিট বসতবাড়ি ভাংচুর নগদ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্বামী স্ত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সর ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রাশিদা বেগম বাদি হয়ে ৫ জনের বিরম্নদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে তিনি জানান।থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের মৃত জবেদ আলী সরদারের ছেলে রম্নহুল আমিন সরদারের সাথে একই গ্রামের মৃত আফতাব আলী সরদারের ছেলে আব্দুল আহাদ আলী সরদার,মাজেদ আলী সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি ও আদালতে মামলা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এইর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে রম্নহুল আমিন সরদার ও আব্দুল আহাদ আলী সরদার,মাজেদ আলী সরদারের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরম্ন হয়। কথাকাটাকাটি একপর্যয়ে আব্দুল আহাদ আলী সরদার,মাজেদ আলী সরদা,ইব্রাহিম সরদার,অমিত হাসান,ফয়সাল মিলে দা,শাবল,কুড়াল,লোহার রড়,বাঁশের লাঠি দিয়ে রম্নহুল আমিন সরদার(৫০)কে মারপিট করতে থাকে। এসময় তার স্ত্রী রাশিদা বেগম(৪০) ঠেকাতে আসলে তাকেও মারপিট করে আহত করে প্রতিপÿরা। রম্নহুল আমিন সরদার ও স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করার পর প্রতিপÿরা তাদের বসতবাড়ি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করাসহ বাড়িতে থাকা নগদ টাকা লুট নেয়। এব্যাপারে আব্দুল আহাদ আলী সরদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।