রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বারান্দা থেকে জমি বিক্রির ১১ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ চোরকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে অধিকাংশ অর্থ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে তানোর থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুন ২০২৫ (সোমবার) বিকেল ৪টা’র দিকে তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বারান্দায় চুরির ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী মোসাঃ মাবিয়া খাতুন (৬৫), রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল মহল্লার মৃত রবিউল ইসলামের স্ত্রী। ওইদিন তিনি তানোর উপজেলার ২নং বাঁধাইড় ইউনিয়নের শিবরামপুর মৌজায় নিজের ৩৯ শতাংশ জমি দুই ব্যক্তির কাছে ১১,৩০,০০০ (এগারো লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা’র বিনিময়ে বিক্রি করেন।
জানা যায়, জমি বিক্রির অর্থ তিনি একটি সাদা রঙের প্লাস্টিকের ব্যাগে করে সঙ্গে নিয়ে আসেন। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বারান্দার একটি চেয়ারে বসে তিনি পাশের চেয়ারে টাকার ব্যাগটি রাখেন। কিছুক্ষণ পরে অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে এক অজ্ঞাত চক্র ওই টাকার ব্যাগটি চুরি করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পরই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন’র নির্দেশনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে চোরকে শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তানোর থানার উচাডাঙা গ্রামের সাইদুর রহমানের পুত্র রজেদ আলী (৪৪) কে আটক করে। এ সময় রজেদ আলীর কাছ থেকে ১০,৯৫০০০ (দশ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারা অনুযায়ী একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে, বৃদ্ধা মাবিয়া খাতুন জানান, তার জীবনের সঞ্চিত অর্থ জমি বিক্রির মাধ্যমে পেয়েছিলেন। হঠাৎ এমন ঘটনায় তিনি ভেঙে পড়েন। তবে পুলিশের দ্রুত ও দক্ষ অভিযানে টাকা ফেরত পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের মতে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণে আর্থিক লেনদেন হয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে অফিস চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা জরুরি।