নাটোরের লালপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ভাগ্নে পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে রবিউল ইসলাম শান্ত (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর চিনিরবটতলা এলাকায় স্থানীয়রা শান্তকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া শান্ত উপজেলার পালিদাহ গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে, শান্ত ও তার মামা বশির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ঘর, টিউবওয়েল, সাবমারসিবল পাম্প এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
ভুক্তভোগী রোজিনা বেগম এ বিষয়ে লালপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নাম উল্লেখ করা বাকি দু’জন হলেন—গৌরিপুর গ্রামের বশির উদ্দিন এবং পালিদাহ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম স্বপন।
অভিযোগে বলা হয়, দেড় বছর আগে শান্ত ও তার মামা বশির উদ্দিন সরকারি সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নেন। বশির উদ্দিন নিজেকে কখনও ইউএনও, আবার কখনও সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন বলেও অভিযোগকারীরা জানান। এ পর্যন্ত শুধু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের একটি প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো সুবিধা মেলেনি। টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় তালবাহানা।
গ্রেপ্তার হওয়া শান্ত বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নাহিদ নামে একজনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। তবে সরকারি ঘর বা টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য টাকা নেইনি। এসব বিষয়ে আমার মামা বশির উদ্দিনই জড়িত।” ইউএনও পরিচয় দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।