অবিশ্বাস্য হলেও সত্য—মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দুটি কলেজে ১৪ জন শিক্ষক থাকলেও ২০ জন শিক্ষার্থীর একজনও এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি! এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বীরেন শিকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কানাইনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে। শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বীরেন শিকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২ জন পরীক্ষার্থী এবং কানাইনগর টেকনিক্যাল কলেজের ৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুটি কলেজের অধ্যক্ষের নামে মামলা হওয়ার পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির তদারকি বন্ধ হয়ে যায়। এতে শিক্ষার মান ভেঙে পড়ে এবং পরীক্ষার ফলাফলে তা স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
একজন অভিভাবক মো. করিম মিয়া বলেন, “ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করে না, আর শিক্ষক-প্রশাসনেরও দায় আছে। সবাই দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছে বলেই এমন ফল।”
বীরেন শিকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইতিহাসের প্রভাষক লিপু রায় বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু শিক্ষার্থীরা নিয়মিত না আসা ও পড়ালেখায় অনিহার কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।”
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মিলন বলেন, “আমরা নতুনভাবে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলছি, এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। শিক্ষকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আগামী বছর ভালো ফলাফলের জন্য আমরা কাজ করছি।”
তবে কানাইনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অঃদঃ) কাজী শফিউল আলম বলেন, “দুটি প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীর কেউ পাস না করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”