লরাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনভোগান্তি চরমে। লাগামহীন হয়রানীতে নাজেহাল রোগি ও তাদের স্বজনরা। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সম্প্রতি ৩১ হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও নিম্নমানের সেবার কারণে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে রটেছে
“জনভোগান্তির আরেক নাম, মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সরোজমিন গিয়ে হাসপাতালের সবখানেই যেন শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধের মারাত্মক অভাব লক্ষ্য করা যায়। এখানে অনেক সময় আয়া বা ওয়ার্ড সহায়কদের দিয়েই করানো হয় ডাক্তারের কাজ, ফলে রোগীরা যেমন সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না, তেমনি বাড়ছে ঝুঁকি ও ভুল চিকিৎসার আশঙ্কা।
এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেলাই সরঞ্জাম ও জরুরি চিকিৎসা উপকরণ না থাকায় ছোটখাটো অস্ত্রোপচার বা ক্ষত সেলাইয়ের মতো মৌলিক কাজও সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না।৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রোগির বাড়তি চাপ, যার কারনে অনেক রোগিকে থাকতে হয় হাসপাতালের মেঝেতে।
ইসিজি ২ টি থাকলে ১ নষ্ট। এক্সরে মেশিন বর্তমানে বৃবহৃত হচ্ছে না ফিল্মের অভাবে।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি থাকলেও তা ব্যবহার হয় সপ্তাহে ২দিন,বিশেষ কিছু মানুষ পায় সে সুবিধা।
হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগী অভিযোগ করেছেন, প্রয়োজনীয় ঔষধও মেলে না হাসপাতালের ফার্মেসিতে। কি কি ওষুধ থাকে হাসপাতালে তার কোন সাইন বোর্ড নাই। বাধ্য হয়ে অনেকেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে বাধ্য হন, যা নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাড়তি কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোগীর স্বজন নাসিমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“এখানে ডাক্তার কম, ওষুধ নাই, সেলাইয়ের সরঞ্জাম নাই—এই হাসপাতালটা যেন কাগজে-কলমেই চলছে।”
চিকিৎসা নিতে আসা জাহানাবাদ গ্রামের কামরুল বলেন, সেবার মান এতটাই খারাপ যে, এখন অনেকেই মোহনপুর হাসপাতালের নাম শুনলেই অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করেন। যাবার জন্য ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্সে নাই ফিটনেস যে কোন সময় রোগী সহ ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।
সচেতন মহল দাবি করছেন, অবিলম্বে হাসপাতালের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে সেবক, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
নাহলে “জনভোগান্তির আরেক নাম মোহনপুর মেডিকেল” কথাটি আরও বাস্তব হয়ে উঠবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আখতার হোসেন বলেন লোকবল “অনেক কম যার কারনে আমরা রুগীদের শতভাগ সেবা দিতে পারছিনা।তবে আগের থেকে কিছুটা ভালো করেছি আরো চেষ্টা করছি।নার্সদের জোরাল ভাবে বলা হয়েছে তারা রোগির চিকিৎসা করবে। ”
সিভিল সার্জন ডাঃ এস আই এম রেজাউল করিম
বলেন, “মোহনপুর উপজেলায় যে সমস্যা আছে তা ডিসেম্বরের মধ্যে সমাধান করা হবে,এ্যাম্বুলেন্স যেটি আছে সার্ভিসিং করতে নির্দেশ দেওয়া আছে।”