রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
জনদুর্ভোগের আরেক নাম বাঘা উপজেলার প্রধান সড়ক; সংশ্লিষ্টদের নেই গুরুত্ব  নিষিদ্ধ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার ষড়যন্ত্রে ডেসটিনির সর্বনাশ রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট পরিচালনা চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদদের স্মরণে তারুণ্যের আইডিয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন বাঘায় এসএসসি-২০২২ ও এইচএসসি-২০২৩(সমমান) শিক্ষাবর্ষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেষ্ট ও শিক্ষা সনদ বিতরণ রাজশাহীতে প্রজন্মদলের কর্মিসভা অনুষ্ঠিত বিদ্যালয়ে না গিয়ে নিয়মিত বেতন তুলছেন লালপুরে শিক্ষক উত্তম কুমার বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী আটক ডেসটিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে জিম্মি রামেক হাসপাতালে চালু হলো ‘ইআরসিপি স্যুট’ খাদ্যনালি, পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়ের এন্ডোস্কোপি প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা করা যাবে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম তানোরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বারান্দা থেকে ১১ লক্ষাধিক টাকা চুরি: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার, আটক ১ জন রাজপাড়ায় প্রশাসনকে উপেক্ষা করে অবৈধ বহুতল ভবন, প্রতিবাদ দমাতে রাতের আঁধারে হামলা বাঘায় প্রধান শিক্ষকের বসা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত ২৫ বিএসটিআইয়ের অভিযানে ধ্বংস করা হলো ৬০ কেজি আইস ললি ও আইসক্রিম, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা রাজশাহীতে অবৈধ চোলাইমদের আস্তানা ফাঁস, র‌্যাবের জালে বৃদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী হারিয়ে যাওয়া ৫১টি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিলেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার নওগাঁয় স্ত্রী-কে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড শার্টের বুক পকেটে ১৬০ পিস ইয়াবা, র‌্যাবের জালে মাদক ব্যবসায়ী সোহেল আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বাংলাদেশিদের দুঃসময়: ভিসা মিলছে না, স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

রাজশাহীতে তিন যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: প্রত্যাহারের দাবিতে চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬৬ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ৮:৩১ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে গোলাপ হোসেনকে রক্ষা ও নিরীহ অন্তর, বাদশা,শান্তকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে’ রাস্তায় নেমে আসেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বার ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ।

সোমবার (০৫ মে) বিকেলে চন্দ্রিমা থানার কোটাপুকুর মোড় বিক্ষোভ মানববন্ধনে উত্তাল হয়ে ওঠে। এরপর চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি রূপ নেয় ক্ষোভের বিস্ফোরণে,যখন মানববন্ধন শেষে তাঁরা সরাসরি চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও করেন। তাঁদের মূল দাবি—হত্যা মামলায় প্রকৃত হুকুমদাতা গোলাপ হোসেনকে কেন এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হলো, সেই প্রশ্নের জবাব এবং নিরীহ তিন যুবকের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পূর্ণ তদন্ত।

রাজশাহীর ছোট বনগ্রামে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ছাব্বির নামের এক তরুণ। হত্যাকাণ্ডের পর দায়ের করা মামলায় বাদশা,শান্ত ও অন্তরকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়।

তবে ভুক্তভোগীদের পরিবার এবং এলাকার বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন—এই তিন যুবক ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

অভিযোগ উঠেছে,হত্যার মূল হুকুমদাতা গোলাপ হোসেন প্রভাব খাটিয়ে এবং ঘুষের মাধ্যমে পুলিশকে প্রভাবিত করে নিজের নাম এজাহার থেকে বাদ দিয়ে নিরীহদের ফাঁসিয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেন বাদশার পিতা মো. বাচ্চু শেখ, শান্তর পিতা মো. শাজাহান শেখ এবং অন্তরের পিতা মো. আব্দুল মান্নান। তাঁরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের ছেলে নির্দোষ। ওরা কোনোদিন কারো ক্ষতি করে নাই। অথচ আজ খুনের আসামি বানিয়ে সমাজে মুখ দেখানো যাচ্ছে না।মিছিলে নারীরাও অংশ নেন।

মোসা. সুরিনা বেগম বলেন, “আমরা গরিব মানুষ,আমাদের ছেলে-মেয়েরা কষ্ট করে বাঁচে। তাদের এভাবে জড়ানো অন্যায়। আমরা সুবিচার চাই।

বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী,সাব্বিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে টাকার লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিলেন গোলাপ হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মিজানুর ও আব্দুল্লাহ। এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার গোপন পর্যবেক্ষণকারী একটি বেসরকারি দল দাবি করেছে—ঘটনার আগমুহূর্তে গোলাপ হোসেন ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন,এমনকি সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁর উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

বিক্ষোভে আলোচিত হয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—মো. নজরুল নামের একজনকে মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,যদিও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ।

স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী,নজরুল হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থলের রক্ত মুছে ফেলেন। অথচ তাকেই মামলার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ সাক্ষী বানানো হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, নজরুল আসলে গোলাপ হোসেনের আত্মীয়—ভাগ্নির জামাই ও দুলাভাই—যার ফলে তাঁর সাক্ষ্যের নিরপেক্ষতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

এজাহারের ১ নম্বর আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন—বাদশা,শান্ত বা অন্তরের নাম তিনি কখনও উল্লেখ করেননি। এ থেকে স্থানীয়রা মনে করছেন, এই তিন যুবককে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা সরাসরি চন্দ্রিমা থানার দিকে যাত্রা করেন। তাঁরা থানার সামনে অবস্থান নেন এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করেন— প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার,এজাহার থেকে বাদ দেওয়া ব্যক্তিদের পুনরায় অন্তর্ভুক্তি,নিরীহদের নাম প্রত্যাহার, মামলার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত।

একপর্যায়ে থানা ঘেরাও পরিস্থিতি কিছুটা উত্তেজনায় রূপ নেয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জনতাকে আশ্বস্ত করেন যে,অভিযোগ পুনঃতদন্ত করা হবে এবং দোষীদের ছাড়া দেওয়া হবে না।

এই প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি।

বিক্ষোভকারীদের মতে,যদি এবারও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে জনসাধারণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস আরও দুর্বল হবে।

এলাকাবাসী বলেন, “একটা খুন হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃত খুনি আজও বাইরে। আর নিরীহরা পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে আছে—এটা কেমন সমাজ?”বাদশা,শান্ত ও অন্তরের পরিবার বলছে—“আমরা শুধু চাই, আমাদের ছেলেদের নাম মুছে দেওয়া হোক। আমরা চাই, সত্য প্রকাশ পাক। আমরা বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়।”তাঁদের এই কান্নার প্রতিধ্বনি এখন পুরো ছোট বনগ্রামে।এলাকাবাসী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন—এই আন্দোলন থামবে না, যতক্ষণ না নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

তাদের দাবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যেন দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন এবং মামলার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শাজাহান শেখ, বাচ্চু শেখ, আব্দুল মান্নান, আব্দুল হামিদ, আব্দুল রহিম, সুরিনা বেগম, সাজেমা, ববি খাতুন, কাজল, পাপ্পু, ডিলুপ, মমিন, সুমন, জনিসহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!