 
						শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, “বই হলো জ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মূল চালিকাশক্তি। এই মেলার আয়োজন রাজশাহীর পাঠক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। বইমেলার মাধ্যমে আমরা নতুন লেখক ও প্রকাশকদের কাজের সঙ্গে পাঠকদের সংযোগ স্থাপন করতে পারি। এছাড়া, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আমি আশা করি, এই ৯ দিনব্যাপী মেলায় সবাই সক্রিয় অংশগ্রহণ করবেন এবং প্রতিদিনের আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাহিত্যিক আড্ডা থেকে নতুন কিছু শিখবেন। বইমেলা শুধু পড়াশোনার জন্য নয়, বরং আমাদের সমাজে জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসারের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। আমি আয়োজনকারী সকলকে ধন্যবাদ জানাই এবং মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সফল ও আনন্দময় মেলার কামনা করছি।”
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগ ও রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বছরের বইমেলা।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে ৮১টি প্রতিষ্ঠান—এর মধ্যে ১১টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা। বাংলা একাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এতে অংশ নিচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি; রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হামিদুল হক; রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার; রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মো. রেজাউল আলম সরকার।
মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বিকেল ৬টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান বাদে বাকি সাত দিন সাতটি ভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাহিত্যপ্রেমীরা অংশ নেবেন।
প্রতিদিনের আলোচনা সভার পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠ, সংগীত পরিবেশনা ও সাহিত্যবিষয়ক আড্ডা।
কর্মদিবসে মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
রাজশাহীর পাঠপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা মানুষের মিলনমেলায় বইমেলাটি ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে এক প্রাণবন্ত উৎসবে।
সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায়।