“সংস্কার ও বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এগুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন ও গণতন্ত্র বন্ধ থাকবে—এমন চিন্তা-ভাবনা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।” রাজশাহীর ভূবন মোহন পার্কে এক জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে বিএনপির সদস্য ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, “আমরা জানি দেশে সংস্কার ও ন্যায়বিচারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা একটি চলমান ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বিগত স্বৈরাচার সরকার যেমন বলেছিল—‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’, আজকে যদি কেউ বলে—‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন’, সেটিও একই ধরনের মিথ্যা ও ভাঁওতাবাজি।”
ড. মঈন খান বলেন, “দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে। এই আস্থার মর্যাদা দিতে হবে। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়। তরুণ সমাজ আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনও ছিল ষড়যন্ত্রমূলক। ১৬ বছর ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি—এই লজ্জা জাতির জন্য বহনযোগ্য নয়।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে পরিবর্তন চাই। আমরা নিয়মের বাইরে যাব না, আইন ভাঙব না। কারণ গণতন্ত্র মানে শক্তির ব্যবহার নয়, গণতন্ত্র মানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে স্বৈরতন্ত্র, আমরা তা করব না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত,যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা, ও সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ।