শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
ভবানীগঞ্জে চালু হলো ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল চ্যালেঞ্জ জয় করে রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সফল কর্মীসভা সম্পন্ন রাজশাহীতে মৃত বৃদ্ধার পরিচয় সনাক্ত করলেন পিবিআই ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মোহনপুরে বিদায়ী ইউএনও আয়শা সিদ্দিকাকে সংবর্ধনা বিসিএস ক্যাডার হওয়া এক গর্বিত স্বপ্নের নাম,শাকিল খান রাজশাহীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্কুল ছাত্রছাত্রী  ৪ বছরে অর্জনের গৌরব, ৫ম বর্ষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মাগুরা জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা: মো: শামীম কবিরের ২ বছর পূর্ণ করায় শুভেচ্ছা জানানো হয় মাগুরায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ মাগুরায় দাসনা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ক্যাব বাংলাদেশ রাজশাহী গণমাধ্যমের সাথে আলোচনা সভা রাজশাহীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর, দোষীদের গ্রেফতারের দাবি ‎রাজশাহীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে অটোভ্যান চালক নিহত দুর্নীতি করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা- অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ রাজশাহীতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করেছে শ্রমিকেরা বগুড়ায় হাতুড়ি দিয়ে পেট্রোলপাম্প কর্মকর্তাকে হত্যার মূল অভিযুক্ত আটক রাজশাহীর পবায় সারাদেশের ন্যায় চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ২৩ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য

মোঃ টোকন শেখ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি / ১১ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৫১ অপরাহ্ন

ফরিদপুর শহরটির পুরনো নাম ছিল ফতেহাবাদ। মরা পদ্মা নামে একটি নদীর তীরে এই শহরটির অবস্থান ছিল, যেটি মূল পদ্মা নদী থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে ছিল। পঞ্চদশ শতকের শুরুর দিকে সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ ফতেহাবাদে একটি টাঁকশাল স্থাপন করেছিলেন। ১৫৩৮ সাল পর্যন্ত ফতেহাবাদ বাংলা সুলতানির টাঁকশাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সম্রাট আকবরের মুঘল সাম্রাজ্যকালে ‘আইন-ই-আকবরী’-তে শহরটি ‘হাওয়েলি মহল ফতেহাবাদ’ নামে উল্লেখিত হয়। পর্তুগিজ মানচিত্রকার জোয়াও দে ব্যারোস একে ‘ফাতিয়াবাস’ নামে উল্লেখ করেছেন। ভ্যান ডেন ব্রুকের ওলন্দাজ মানচিত্রে একে ‘ফাথুর’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

বাংলা সাহিত্যে এই শহরের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় কবি দৌলত উজির বাহরাম খানের লেখা লায়লি-মজনু উপাখ্যানে। বিখ্যাত মধ্যযুগীয় কবি আলাওল ফরিদপুরেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল ফতেহাবাদ। এটি একটি সু-বিকশিত নগর কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি ছিল। শহরে গুরুত্বপূর্ণ মুঘল সরকারি কর্মকর্তারা, যেমন জেনারেল, বেসামরিক কর্মচারী এবং জায়গিরদারদের বসবাস ছিল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে, সতেরো শতকে, স্থানীয় জমিদার সত্রাজিত ও মুকুন্দ মুঘল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। উনিশ শতকে আজমীর চিশতিয়া তরিকার অনুসারী সুফি সাধক শাহ ফরিদ উদ্দিন মাসুদের সম্মানে শহরটির নামকরণ করা হয় ফরিদপুর। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে হাজী শরীয়তুল্লাহ এবং দুদু মিয়া ফরিদপুরে রক্ষণশীল ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।

১৭৮৬ সালে ব্রিটিশরা ফরিদপুর জেলা প্রতিষ্ঠা করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ঢাকা বিভাগের অধীনে ছিল ফরিদপুর মহকুমা। ১৮৬৯ সালে ফরিদপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মহকুমা বর্তমান ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর এবং গোপালগঞ্জ জেলাগুলো (সম্মিলিতভাবে যা বৃহত্তর ফরিদপুর নামে পরিচিত) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজের সময় এটি পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি

ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের বাড়ি। কুমার নদীর পাশে কবির বাড়িতে রয়েছে পুরাতন ৪টি টিনের ঘর।

গেরদা ফলক

ফরিদপুর সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গেরদা গ্রামে অবস্থিত গেরদা মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে আরবি ভাষায় লেখা পাথরের এক বিশেষ ফলক।

সাতৈর মসজিদ

ফরিদপুর জেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামে সুলতানী আমলের নয় গম্বুজ বিশিষ্ট সাতৈর মসজিদ (Satoir Mosque)।

মধুমতি নদী

মধুমতি নদী (Madhumati River) বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটের উপর দিয়ে।

মথুরাপুর দেউল

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে অবস্থিত মথুরাপুর দেউল (Mathurapur Deul) একটি ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। মঠটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী বাজার।

কানাইপুর জমিদার বাড়ি

ফরিদপুর জেলা শাসনকারী জমিদারদের আছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। কানাইপুরের শিকদার বংশ তেমনি ফরিদপুরের বিখ্যাত জমিদারদের মধ্যে অন্যতম। প্রায় ৪০০ বছর।

ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক

ফরিদপুর জেলা শহরের গোয়ালচামট নামক স্থানে প্রায় ১৪ একর জায়গাজুড়ে ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং ফরিদপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল।

পাতরাইল মসজিদ

পাতরাইল মসজিদ (Patrail Masjid) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। দূর্লভ ও নান্দ্যনিক কারুকার্যময় প্রাচীন মসজিদটি মজলিশ।

>ফরিদপুরের কিছু বিখ্যাত খাবার হলো:

বোয়ালমারীর ইলিশপেটি:

ফরিদপুরের বোয়ালমারী অঞ্চলের একটি বিখ্যাত মিষ্টি, যা ইলিশ মাছের লেজের অংশ দিয়ে তৈরি করা হয়। ফরিদপুরের আরেকটি জনপ্রিয় মিষ্টি হলো খোকা মিয়ার রসগোল্লা।

বিভিন্ন ধরনের গুড় ও পিঠা: 

ফরিদপুরে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয়ভাবে তৈরি গুড় এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠা পাওয়া যায়, যা পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

বাগাট ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার:

এই স্থানটি ফরিদপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান, যেখানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও দই পাওয়া যায়।

বিখ্যাত ব্যক্তি

 


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!