শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মহম্মদপুরে মানববন্ধন
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার চরপাচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে সোমবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, অশোভন আচরণ এবং মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা অবিলম্বে ওই শিক্ষককে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছে, ধর্ম শিক্ষক মো. আব্দুল হান্নান প্রায় প্রতিদিনই তাদের সাথে বাজে আচরণ করেন। এর আগেও তিনি অন্য একটি বিদ্যালয়ে একই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে বদলি হয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী বলেন, “প্রায় প্রতিটি ক্লাসেই তিনি আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।” তাই তারা পুনরায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, একই অভিযোগে পূর্ববর্তী বিদ্যালয় থেকেও তাকে বদলি করা হয়েছিল। তবুও প্রভাবের কারণে তিনি শাস্তির বাইরে থেকে যান। তাই এবার তারা তার চাকরিচ্যুতির পাশাপাশি সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আব্দুল হান্নান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গ্রাম্য শত্রুতার কারণে স্থানীয় একটি মহল আমাকে ফাঁসাতে এসব অভিযোগ করছে।”
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সাহা বলেন, “অভিযোগ ও মানববন্ধনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসা: শাহীনুর আক্তার জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।