চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে গড়ে উঠেছে একটি চোরাকারবারী সিন্ডিকেট। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সোনামসজিদ আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। তারা বলেন, এ বন্দর দিয়ে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি করা পণ্যের উপর সরকার প্রতি বছর প্রায় এক হাজার দুইশত কোটি টাকা আদায় করে থাকে রাজস্ব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আমদানি-রপ্তানিকারকসহ জেলার আমদানি-রপ্তানিকারকরা ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তের দুই পাশ সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও মহদিপুর স্থলবন্দরে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে চোরাকারবারী। এ সিন্ডিকেট বৈধ পথ অবলম্বন করে ভারতীয় ট্রাক চালকদের যোগসাজসে আমদানিকৃত পণ্যভর্তি ট্রাকের ভেতর মোবাইল ফোন ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পাথরের আড়ালে আসা মোবাইল ফোনের একটি চালান জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ওই চালানে আইফোনসহ বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ডের ৪২টি মোবাইল ফোন ছিল। সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাব্বির আহমেদ জিসান বলেন, পাথর বোঝাই ট্রাকের ইঞ্জিনের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সোনামসজিদ আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতি বলেন, বৈধ পথে অবৈধ মালামাল প্রবেশ করায় আমরা আমদানিকারকসহ বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে এসব অবৈধ চোরাচালান সিন্ডিকেট ভেঙে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিজিবি ও কাস্টমসসহ আইন শৃংখলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
আব্দুল কাদির
শিবগঞ্জ প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মোবাইল নাম্বার ০১৭১১৯৩৯৮৫০