রাজশাহীর বাঘায় জোরপূর্বক দোকানঘর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগীর পরিবার । বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী হলেন, বাঘা উপজেলার খুদি ছয়ঘাটি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা, তিনি তার দোকানঘর উদ্ধার চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী সহেল রানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর বাজারের ৩৩/XII/ ১৮-১৯ নং দোকান গত ৩০/১০/২৫ ইং তারিখে পূর্বের ভোগ দখলকারী মালিক শ্রী নির্মল কুমার মন্ডলের কাছ থেকে মালিকানা হস্তান্তর গ্রহন করি। সাবেক লাইসেন্স গ্রহিতার লাইসেন্স টি পরিবর্তন করে বর্তমান মালিক আমার নামে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । এমনতাবস্থায় শ্রী নির্মল কুমার মন্ডলের লাইসেন্স পরিবর্তন করে নিজ নামে ক্রয় করা দোকানটি করতে গেলে আমার উপর রাগান্বিত হয় একটি পক্ষ ৷ ওই পক্ষে আছেন, বাজু বাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ রঞ্জু, সাহার আলী মেম্বার, আলমগীর মেম্বার, আনছার আলী, ফরিদ আলী, জাম্বার আলী, লিটন আলী, হাবিবুর রহমান বিটুল, শরিফুল ইসলাম সহ অনেকেই । কিছু দিন পরে আমার উপরে উল্লেখিত ওই পক্ষের লোকজন আমার হস্তান্তর কৃত দোকানঘরের তালা ভেঙে ওই প্রতিপক্ষ দখল নিয়ে নেয় । এতে আমি আর্থিক ক্ষতি সহ আমার মানসম্মান হানী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই ভুক্তভোগী সোহেল রানা।
ভুক্তভুগী সোহেল রানা আরো বলেন, আমি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর বাজারের ৩৩/XII/ ১৮-১৯ নং সরকারী লিজকৃত জায়গা দখলে আইনী সহায়তা চেয়ে গত ২৪/১১/২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন বা অভিযোগ করি। তবে এর পরে
আমি প্রাশাসনিক কোন সহযোগিতা পাই নাই বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে শ্রী নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, আমি একমাত্র সোহেল ছাড়া অন্য কারো কাছে ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করিনাই। এখন থেকে শর্ত সাপেক্ষে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সোহেল উক্ত ঘরের ভোগ দখল করবে। যদি কেউ মালিকানা দাবি করে তা মিথ্যা। আমি সোহেল কে লিখিত ভাবে ঘরের মালিকা হস্তান্তর করেছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি আক্তার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।