পুকুর কাটায় বাধা দিতে গিয়ে ভেকু দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর ধুরইল ইউপির পালশা গ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজে বাধা দিতে গিয়ে ভয়াবহ ভেকু দুর্ঘটনায় জুবায়ের (২৫) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ তারিখ) রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের পালশা গ্রামে পুকুর খননের কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে পুকুর কাটার কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় জমে এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতার একাংশ ভেকু চালকের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে । মারধরের সময় ভেকু চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে ভেকু মেশিনের মাটিকাটা অংশের বালতি (বাকেট) জুবায়েরের শরীরে সজোরে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবার কিছুক্ষণ পরে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে জানান।
ঘটনার পরপরই এলাকায় শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিহত জুবায়েরের পরিবারে নেমে আসে গভীর শোক। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরের দিন সেই ভেকুটি তে আগুন জালিয়ে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসিরা।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ভেকু চালককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ৭ জনকে অভিযুক্ত করে এজহার দায়ের হয়েছে, পরবর্তিতে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হবে।”
এদিকে, ভিমনগর গ্রামের আনেছুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ডিট বা পুকুর কাটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী নেতার যোগ সাদৃশ্যে আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে।”
তদন্তকারি কর্মকর্তা বলেন এজহার দায়ের করেছে ভুক্তভোগী তবে সুষ্ঠ তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।