পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন অনিল সরদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে মারপিট করে তার হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা আটটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে। অনিল সরদারকে উদ্ধারে এগিয়ে যেয়ে এসময় তার পুত্র সাধন সরদার, পুত্রবধু মামনি সরদার ও স্ত্রী গিরিবালা সরদারও ধারালো দায়ের কোপে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করেছে তার স্বজনরা। আহতদের মধ্যে অনিল সরদারের অবস্থা আশংকাজনক জানিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে নিতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছে।
মারপিটের ঘটনায় আহত সাধন সরদার জানায় ভুমিহীন হওয়ায় তারা ৯৯ বছরের বন্দোবস্তকৃত জমিতে বসবাস করেন। বুধবার সকালে ঐ জমিতে থাকা পুকুরে মাছ ধরার সময় প্রতিবেশী তাতীরাম সরদারের ছেলে সুজিতের নেতৃত্বে মদন, জয়ন্ত, কৃষ্ণপদ, সন্তোষ ও তারকসহ ১২/১৪ জন এসে বাঁধা দেয়।
এসময় অনিল সরদার প্রতিপক্ষের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়লে মদনসহ অন্যরা তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা বৃদ্ধ অনিলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা লাঠিশোটা নিয়ে এলোপাতাড়ী মারধর করে।
হামলার অভিযোগ প্রত্যাখান করে মদন সরদার জানান, তাদের ভোগদখলীয় পুকুরে মাছ মারতে বাঁধা পেয়ে অনিলের ছেলে হামলা করলে জয়ন্ত ও তারক নামের দুই জন আহত হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কল্লোল হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে অনিল সরদারের অবস্থা বেশী খারাপ। বাম হাত ও ডান পা একেবারে ভেঙে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে টাকার অভাবে স্বজনরা বিকাল পর্যন্ত তাকে শ্যামনগর হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে পারেনি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হুদা জানান, ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু এখনও অভিযোগ দেয়নি কেউ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।