রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাঘায় সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগের ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) সাপ্তাহিক মিটিং অনুষ্ঠিত রাজশাহী অঞ্চলে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের ওপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  নওগাঁর পোরশায় পুকুরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর আফজাল হত্যার ঘটনার র‌্যাবের যৌথ অভিযানে জিএমপি গাজীপুর সদর থানা থেকে গ্রেফতার  রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা হতে হেরোইনসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর দুটি জলাভূমিকে দেশের প্রথম ‘জলাভূমি–নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা আরএমপি ডিবি অফিস পরিদর্শন করলেন পুলিশ কমিশনার; সততা ও পেশাদারিত্বের নির্দেশনা প্রদান আট দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সুজন নওগাঁর পোরশায় পুকুরের পানি সেচকে কেন্দ্র আফজাল হত্যার ঘটনার হাবিবুর’কে র‌্যাবের হাতে আটক  ক্ষমতার দাপটে অফিস করছেন সাসপেন্ড প্রকৌশলী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করতঃ মুক্তিপণ দাবীর তদন্তে সন্দিগ্ধ অন্যতম প্রধান অপহরণকারী সজিব‘কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ রাজশাহীতে ১১৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মোসাঃ শারমিন’কে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫ রাজশাহীতে তিন যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: প্রত্যাহারের দাবিতে চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও মোহনপুর এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে চলছে কোচিং বানিজ্য পুঠিয়ায় প্রতিবন্ধী আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে ছোট ভাইয়ের পরকীয়া  ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী প্রধান শিক্ষক মোঃ আকরাম মন্ডল (৫৩) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) কমিটি গঠন তানোরে পুরোহিতের বাড়িতে ডাকাতি চেষ্টা, দায়ের কোপে ১০ বছরের শিশুসহ আহত দুই মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় ১মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর নেতৃত্বে র‍্যালী ও আলোচনা সভা
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

কেশবপুরে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি / ২৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২, ৩:১৮ পূর্বাহ্ন

কেশবপুরে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। তাঁর বাগানে ড্রাগনফল চারা রোপণের ৮-৯ মাসেই ফল ধরেছে। রোপনের পর অল্পদিনে উৎপাদন ও অধিক লাভজনক হওয়ায় কেশবপুরসহ পাশর্বর্তী উপজেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ড্রাগন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
শুরুর বছরেই ৪ বিঘা জমিতে সাইফুল ৫ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। যা এখনও চলমান। গাছের বয়স যত বৃদ্ধি পাবে ফলনও তত বাড়বে। আর এভাবে উৎপাদন অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে কোটি টাকারও বেশি ফল উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান। সাধারণত এ গাছে রোপনের ১২ থেকে ১৮ মাস পর ফল ধরে। এ প্রজাতির গাছ প্রায় ১শ’ বছর বাঁচে। ৫০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত ভালোভাবে ফল উৎপাদন হয়। পরে উৎপাদন কমতে থাকে। সাইফুলের স্বপ্ন উপজেলাব্যাপী ড্রাগন চাষ ছড়িয়ে দিয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা। তাঁর সাফল্যের খবর পেয়ে পাশের কলারোয়া উপজেলার কওসার আলী নামের এক ব্যক্তি সাইফুলের বাগান থেকে গাছের কান্ড সংগ্রহ ও পরামর্শ নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সাইফুলের পরামর্শে দামী ফল ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম যশোরের পলাশীর রুদ্রপুর পার্কের পাশে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার ৫শ’ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন।পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব দেখে পরিকল্পনা নেন ড্রাগন চাষের। ঐ বছরই সামরিক কর্মকর্তার বাগান থেকে ড্রাগন গাছের কান্ড সংগ্রহ করে ৪ বিঘা জমিতে রোপন করে। আড়াই হাজার সিমেন্টের তৈরী পিলার যা সোজা করে মাটিতে পুতে দিতে হয়, তার উপর মোটর সাইকেলের পুরাতন টায়ার বেঁধে চাষ এবং নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে সব মিলিয়ে ৪ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া তিনি সৌদি খেজুর, লটকন, মাল্টা, থাই নারকেল, আম ও সিডলেস লেবুর আলাদা আলাদা চাষ করছেন। সাইফুলের বাগান সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করেন শহিদুল ইসলাম নামের এক মালী। প্রায় ২২ বছর ধরে তিনি মালিক সাইফুলের বিভিন্ন ফল ফলাদির বাগান দেখাশুনা করেন। তিনি জানান, ড্রাগন গাছ রোপনের পর ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে ফল আসতে। কিন্তু তাদের বাগানে ফল এসেছে ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে। বছরে প্রায় ১০ মাসই ফল ধরে। একবার রোপন করলে প্রায় ১শ’ বছর বেঁচে থাকে গাছ। তবে ৫০ বছর পর্যন্ত ভাল ফলন পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের একটি ড্রাগন গাছে ৫ থেকে ২০টি ফল এবং ৫-৬ বছর পর একটি গাছে ২৫ থেকে ১শ’টি ফল উৎপাদন হয়। মালী শহিদুল আরও বলেন, সুস্বাদু ও বিভিন্ন রোগের উপকার হয় বলে বর্তমানে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ফল ক্রয় করার জন্য অগ্রীম অর্ডার করেন। বাগান থেকে প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ৮-৯ মাসে বিঘা প্রতি প্রায় ১৫০ মন ফল পাওয়া যায়। অতিবৃষ্টি না হলে ৪ বিঘা জমিতে বছরে ৬শ’ মন ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতিমন বারো হাজার হিসেবে ৭২ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, ড্রাগন ফলের জন্ম মধ্য আমেরিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার মালেশিয়ায় ফলটির উৎপাদন হয় বিংশ শতাব্দীর দিকে। বর্তমানে ভিয়েতনামে বেশি চাষ হচ্ছে। ভিয়েতনাম ছাড়া তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালেশিয়া, চীন, ইসরাইল, অস্ট্রেলিয়াতেও চাষ হচ্ছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারের প্রফেসর ড. এম এ রহিম গবেষণার উদ্দেশ্যে ড্রাগন ফলের কয়েকটি জাত নিয়ে আসেন থাইল্যান্ড থেকে। ঐ প্রথম এ দেশে ড্রাগন ফলের গাছ নিয়ে আসা হয়। তাঁর গবেষণা সফল হয় এবং সেসব গাছে ফলন আসে। এ সফলতার ওপর ভিত্তি করে গবেষণা সেন্টার থেকে এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ড্রাগন ফলের উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ড্রাগনফল দু’রকমের- টক ও মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন ফলের আবার তিনটি জাত রয়েছে। যেমন-লাল ড্রাগনফল বা পিটাইয়া: এ প্রজাতির গাছের ফলের খোসার রঙ লাল, শাঁস সাদা। আমাদের দেশে এ প্রজাতির ফলই বেশি উৎপাদন হয়। কোস্টারিকা ড্রাগন ফল: এ ফলের খোসা ও শাঁসের রঙ লাল। হলুদ ড্রাগন ফল: এ ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা। ড্রাগন ফলের চারা তৈরি খুব সহজ। বীজ দিয়ে চারা তৈরি করা যায়। তবে সেসব চারায় ফল ধরতে অনেক সময় লাগে। তাই কাটিং পদ্ধতিতে শাখা কলম করে চারা তৈরি করা উত্তম। বয়স্ক ও শক্ত শাখা (এক থেকে দেড় ফুট লম্বা) তা কোনাকুনি কেটে বালি বা বেলে দো-আঁশ মাটিতে রোপন করলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শিকড় গজায়। কাটিং সাধারণত মরে না। কাটিং থেকে উৎপাদিত গাছে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই ফল ধরে। রোপন করার আগে জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে সমান করে তিন মিটার পরপর সব দিকে সারি করে ড্রাগন চারা লাগানো যেতে পারে। চারা রোপনের মাসখানেক আগে গর্ত তৈরি করে তা সারমাটি দিয়ে ভরে রেখে দিতে হয়। প্রতি গর্তে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম করে টিএসপি ও এমওপি সার, ১০ গ্রাম করে জিপসাম, জিঙ্ক সালফেট ও বোরাক্স সার দেয়া হয়। বছরের যে কোনো সময় চারা লাগানো যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভালো হয়। প্রতি গর্তে চার থেকে পাঁচটি চারা লাগাতে হয়। সিমেন্ট বা বাঁশের খুঁটির সাথে গাছ বেঁধে দিতে হয়। ড্রাগন গাছ সাধারণত ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত হলে হলুদ রঙ পরে কালো রঙ ধারণ করে। পরে ওই অংশে পচন শুরু হয়। দ্রুত রোগ দমনের জন্য ছত্রাকনাশক, যেমন-বেভিস্টিন, রিকোমিল, থিওভিট ইত্যাদির যে কোনো একটি ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। ড্রাগন গাছে ক্ষতিকর পোকামাকড় খুব একটা চোখে না পড়লেও মাঝে মধ্যে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এরা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এ পোকা দেখা দিলে সুমিথিয়ন বা ডেসিস বা ম্যালাথিয়ন প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মি.লি. ভালোভাবে মিশিয়ে ¯‡প্র করতে হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক রকমের ক্যাকটাস। গাছ লতানো, কোনো পাতা নেই।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!