বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা মহম্মদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায় মাগুরায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে উপানুষ্ঠানিক শিখন কেন্দ্রে স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ শ্রীপুরে ইছাক-আবিরন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি ও শীতবস্ত্র বিতরণ মাগুরা শ্রীপুরের সেই জোড়া শিশু মারা গেছে মাগুরা ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত  জরুরী নোটিশ: দৈনিক মাগুরার কথা অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সকল আইডি কার্ড বাতিল করা হলো। ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন মাগুরার জিহাদুল ইসলাম ইউসুফ  মাগুরায় মোহনা টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন।  মহম্মদপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক থেকে পদত্যাগ মহম্মদপুর বিশ্ব ডিম দিবস – ২০২৪ পালিত  মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির মহম্মদপুর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন। মাগুরার জেলা প্রশাসক শহিদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন মাগুরায় জেলা প্রশাসকের সাথে রিপোর্টার্স ইউনিটের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ সচেতনতা প্রচারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং সেচ্ছাসেবী দল গঠন  মাগুরার নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মিনা মাহমুদার যোগদান মহম্মদপুরে গণঅধিকার পরিষদের নতুন সদস্যদের যোগদান সভা অনুষ্ঠিত মাগুরা ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৮০কেজি গাঁজা সহ দুজন মাদক ব্যবসায়ী আটক নানা আয়োজনে মাগুরার মহম্মদপুরে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন মহম্মদপুরে বৃদ্ধকে জনসম্মুখে মাথা ন্যাড়াসহ গোঁফ কেটে দেওয়ার অপরাধে ত্রিনাথ শীলকে আটক করেছে পুলিশ
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

অপরাজিতা ফুল গাছের গুনাগুন

রাশিদুজ্জামান সরদার ডুমুরিয়া খুলনা / ৫৭৫ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:০১ অপরাহ্ন

দেখতে নীল। বলা যায় সে নীলের সমার্থক। আদতে ফুল। ফুলের নাম অপরাজিতা। বেশ মজার ব্যাপার, যা কোনো দিন পরাজয় বরণ করেনি। এ সুন্দর নামের ফুলটি আমাদের দেশীয় ফুল। এটি লতা জাতীয় ছোট ফুল গাছ। বাঁশের বেড়া, গেট ও রেলিং এ ফুল গাছের বেড়ে ওঠার বাহন। তবে টবে এ ফুল খুব সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে। ফুল দেখতে বকফুল বা সিমফুলের মতো। সাধারণত নীল, সাদা ও বেগুনি এ তিন ধরনের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে নীল অপরাজিতা প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। অপরাজিতার কিছু কিছু প্রজাতি দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো। তাই এর ইংরেজি নাম বাটারফ্লাই।

অপরাজিতা অতি প্রাচীন ফুল। এ ফুলের অনেক গল্প লোকমুখে প্রচলিত। জাতকে, কালিদাসের শকুন্তলায় এ ফুলের উলেখ রয়েছে। দূর্গা দেবীর অপর নাম অপরাজিতা। এ ছাড়াও হিন্দুরা এ ফুল দিয়ে পূজো দিয়ে থাকেন।

অপরাজিতা বারমাস ফুটলেও প্রধানত বর্ষার মৌসুমী ফুল। কারণ বর্ষায় এ ফুল বেশি দেখা যায়। তবে নীল অপরাজিতা আমাদের সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। অপরাজিতর মতো এমন চমৎকার নীল ফুল আর কয়টি আছে? এমন মজার নামই বা কয় জনের হয়।

অপরাজিতা ঔষধি ফুল গাছও বটে। এর শুধু রং নয় গুনও রয়েছে। এর লতা, পাতা, শিকড় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি নিরাময় করে। বয়:সন্ধিকালীন উন্মাদ রোগ, গলগন্ড রোগ, ফুলা রোগ, ঘন ঘন প্রস্রাব,স্বরভঙ্গ, শুষ্ক কাশি, আধকপালে ব্যথা ইত্যাদি রোগে অপরাজিতার মূল, ফুল পাপড়ি, গাছের লতাপাতা, মূলের ছাল ও বীজ ব্যবহার হয়ে থাকে।

মূর্ছা বা হিস্টিরিয়া আক্রমণের সময় এর মূল গাছ ও পাতা থেঁতে ছেঁকে ১ চা চামচ রস কোনোরকমে খাইয়ে দিলে সেরে যায়।

বয়:সন্ধিকালীন উন্মাদ রোগের চিকিৎসায় এর মূলের ছাল ৩ থেকে ৬ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে বেটে দিনে ২ বার আতপ চাল ধোয়া পানি দিয়ে খেলে রোগমুক্তি ঘটে।

গলগন্ড রোগে এর মূল ৫-৬ গ্রাম আন্দাজ ঘি দিয়ে শিলে পিষে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে ভালো হয়ে যায়।

পুরোনো ফোলা রোগে নীল অপরাজিতা পাতা মূলসমুহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়।

শিশু অথবা বয়স্ক যারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে এই ক্ষেত্রে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূলসহ রস করে ১ চা চামচ প্রতিনি ২ বার একটু দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

স্বরভঙ্গহলে ১০ গ্রাম থেঁতলে ৪-৫ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ১৫ মিনিট গারগল করলে সেরে যায়।

শুষ্ক কাশি হলে অপরাজিতা মূলের রস ১ চা চামচ আধা কাপ অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে সেই পানি ১০-১৫ মিনিট মখে পুরে রেখে গারগল করলে ভালো হয়ে যায়।

আধকপালে ব্যথার রোগে এক টুকরা মূল ও গাছ থেঁতলে তার রসের নস্যি নিলে সেরে যায়।

সতর্কতা: এ গাছের সবকিছুই ঔষদ হিসেবে ব্যবাহার হয় । তবে মূল এবং বীচি বেশী পরিমাণে খেলে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । কাজেই এর পরিমান খুবই সাবাধানে প্রয়োগ করা উচিৎ।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!