মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেডের বেতন নির্ধারণের ন্যায্য দাবি আদায়ের মানববন্ধন মাগুরায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খাঁন এর পক্ষে লিফলেট বিতরণ। রাজশাহী বাঘায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন ফার্মেসিকে জরিমান মোহনপুরের কেশরহাটে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, এক সন্দেহভাজন আটক অপহরণের ১৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি শমরিয়া রানী লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৫৬ জন ইউপি সদস্য বিএনপিতে যোগদান মাটির নিচে পুতে রাখা ১৫ কেজি গাঁজা সহ এক ব্যবসায়ী আটক রাজশাহীতে ‘‘অপারেশনস্ ফার্স্ট লাইট’’ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও মোটরসাইকেল উদ্ধার: গ্রেফতার: ১৩ রাজশাহীতে ‘স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি” শীর্ষক আলোচনা সভা ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে ১১ বাহিনীর ৬৭ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এসএ গেমস পিছিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশি বক্সাররা ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত: দিনব্যাপী উৎসবে সৃজনশীলতার জোয়ার মহম্মদপুরে ১৩শত পিস ইয়াবাসহ যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবক আটক জিমেইল আইডি হ্যাক করে ব্যাংক একাউন্ট হতে ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা গায়েব, দুই প্রতারক চক্রের সদস্য ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার মাগুরায় বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন মাগুরা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরী: মিলন বাগমারার মানুষের সেবক হতে চাই:বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়া বাঘায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা বাকশিস-মোহনপুর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সফিকুল হক মিলনের মতবিনিময়
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালি মন্দিরে আসছেন

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ / ৮৭৮ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অংশগ্রহন করবেন। পরদিন ২৭ মার্চ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কয়েকটি তীর্থস্থান পরিদর্শনের কথা রয়েছে তার। ইতোমধ্যে নরেন্দ্র মোদির অগ্রবর্তী নিরাপত্তা দল ও ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কয়েকটি তীর্থস্থান পরিদর্শন ও প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে। এসব তীর্থস্থানের মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের ‘যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠ’।

দিল্লি থেকে উড়ে আসা মোদির নিরাপত্তা দলের সদস্যরা গত সপ্তাহেই সাতক্ষীরা সরজমিন ঘুরে দেখেছেন। মন্দিরের অবকাঠামো, যাতায়াত পথ, নিরাপত্তাসহ সবকিছু রেকি করে গেছেন তারা।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যেতে বেশি আগ্রহী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার আগ্রহ মতেই এখন সার্বিক প্রস্তুতি-কর্ম শুরু হয়েছে। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে যেতেও মোদির আগ্রহ আছে। কিন্তু ২৭শে মার্চের ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যে গোপালগঞ্জ আর সাতক্ষীরার সঙ্গে কুষ্টিয়ার অন্তর্ভুক্তি বাস্তবে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

যদিও ঢাকার বাইরের দিনভর ট্রিপের পুরোটাই হবে হেলিকপ্টার যোগে। গোপালগঞ্জের আদি বাসিন্দা মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়ি দেখার ইচ্ছা প্রকাশকে ২৭শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করে একটি রিপোর্ট করেছে জার্মান সংবাদ ডয়চে ভেলে বাংলা সার্ভিস। এ পরিদর্শনটিকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে চিত্রায়িত করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। কিন্তু হঠাৎ করে সাতক্ষীরার মন্দির পরিদর্শনের বিষয়টি মোদির সফরে যুক্ত হলো কীভাবে? এ পরিদর্শনের রাজনৈতিক তাৎপর্যই কি তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ।

বিশ্লেষকরা এখনো এর কোনো কূলকিনারা করতে পারছেন না। তারা ঘুরে ফিরে মন্দিরটির বিশেষত্বকে সামনে রাখছেন। উইকিপিয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বাংলাদেশ তথা উপ-মহাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এর নামকরণেরও বিশেষত্ব আছে। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘যশোরের দেবী’। এটি একটি তীর্থস্থান। মন্দিরটির গুরুত্ব ও ইতিহাস বর্ণনায় নানান তথ্য প্রচার আছে।

ধারণা করা হয় যে, মন্দিরটি আনারি নামের এক ব্রাহ্মণ করেন। তিনি যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠের ১০০টি দরজা নির্মাণ করেন। কিন্তু মন্দিরটি কখন নির্মিত হয়েছে তা আজো অজানা। পরবর্তীকালে লক্ষ্মণ সেন ও প্রতাপাদিত্য তাদের রাজত্বকালে এটির সংস্কার করেছিলেন। কথায় আছে যে মহারাজা প্রতাপাদিত্যের সেনাপতি এখানকার জঙ্গল থেকে একটি অলৌকিক আলোর রেখা বের হয়ে মানুষের হাতের তালুর আকারের একটি পাথরখণ্ডের উপর পড়তে দেখেন। পরবর্তীতে প্রতাপাদিত্য কালীর পূজা আরম্ভ করেন এবং এই কালীমন্দিরটি নির্মাণ করেন। জমিদার বাড়িতে অবস্থিত যশোরেশ্বরী মন্দিরটির বিষয়ে বলা হয়, এই সতীপীঠে কায়মনোবাক্যে পুজো করলে ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ হয় মর্মে প্রচার আছে। এখানে মন্দির-বেদির ওপর প্রতিষ্ঠিত মাতৃমূর্তির শুধু মুখমণ্ডলই দৃষ্টিগোচর হয়। যশোরেশ্বরীর কণ্ঠের নিচে তার শ্রীহস্ত ও শ্রীচরণ কিছুই নজরে পড়ে না। মূর্তির অবয়ব পুরোটাই মখমলে আবৃত। মাথার ওপর টকটকে লাল রঙের চাঁদোয়া। কণ্ঠে রক্তজবার মালা ও নানা অলংকার। মাথায় সোনার মুকুট। লালজিহ্বা দেবীর ভীষণা মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের মালদার জাগ্রত জহুরা কালীমূর্তির মুখমণ্ডলের সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে যশোরেশ্বরীর।

হিন্দু ধর্ম-বিশ্বাস মতে, সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম যশোরেশ্বরী মন্দিরে সতীর করকমল পড়েছিল। অনেকে আবার বলেন, দেবীর দুই পা পড়েছিল এখানে। বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ যশোরেশ্বরীর পুজোতেও রয়েছে স্বাতন্ত্রতা। সমবেত ভক্তগণ ফুল, ফল ও নানা ধরনের মিষ্টি আনেন। সুন্দর করে কাঁসার থালা ও মাটির পাত্রে থরে থরে নৈবেদ্য সাজানো হয়। প্রতিবছর মন্দিরে ধুমধাম করে শ্যামাপুজো হয়। হাজার হাজার ভক্ত পুজো দেন, মানত করেন। বড় করে হোমযজ্ঞ হয়,পাঠা বলি হয়। মন্দিরের সামনে তিনদিন মেলা বসে এখানে হিন্দু ভক্তদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যোগ দেন এ মেলায়। মূল মন্দির সংলগ্ন স্থানে নাটমন্দির নামে একটি বৃহৎ মঞ্চমণ্ডপ ছিলো।

কথিত আছে, এটি লক্ষ্মণ সেন বা মহারাজা প্রতাপাদিত্য ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের পর এটি ভেঙে পড়ে। সেই সুদৃশ্য, লম্বা-চওড়া বিরাট নাটমন্দিরের এখন শুধুমাত্র ভগ্ন স্তম্ভগুলোই দেখা যায়। দু-একটা স্তম্ভ কয়েকশ’ বছরের নীরব সাক্ষী হয়ে ইটের পাঁজর বের করে দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরটির চারদিকে সুউচ্চ প্রাচীর ছিল। কিন্তু মূল মন্দিরটি বাদে আজ অনেক কিছুই কালের গর্ভে বিলীন। মন্দিরের নওবতখানা এখন ভগ্নস্তূপ। অবশ্য ধর্মীয় এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ওই স্থাপনার সংস্কারে বাংলাদেশ সরকার অনেকটাই এগিয়ে এসেছে।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাতক্ষীরা সফর প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসককে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!