কলারোয়া হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে একই পরিবারের দু’ নাবালক সন্তানসহ তাদের বাবা ও মাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৬৪ ধারায় আসামী ও সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ডকারি বিচারিক হাকিম বিলাস কুমার মণ্ডল ও রাকিবুল ইসলাম। সোমবার তারা সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের কাছে এ সাক্ষ্য দেন। তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামি ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে সাক্ষ্য দেবার জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ নিয়ে এ মামলায় ১৭জন সাক্ষ্য দিলেন।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিষা গ্রামের শাহজাহান ডাক্তারের ছোট ছেলে রায়হানুর রহমান(৩৬) বেকারত্বের কারণে বড় ভাই শাহীনুরের সংসারে সে খাওয়া দাওয়া করতো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোন কাজ না করায় গত বছরের ১০ জানুয়ারি স্ত্রী তালাক দেয় রায়হানুর রহমানকে। সংসারে টাকা দিতে না পারায় শাহীনুৃরের স্ত্রী দেবর রায়হানুরকে মাঝে মাঝে গালমন্দ করতো। এরই জের ধরে গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাতে ভাই মোঃ শাহীনুর রহমান(৪০) ভাবী সাবিনা খাতুন(৩০), তাদের ছেলে ব্রজবক্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যূালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম হোসেন মাহী(১০) ও মেয়ে একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী তাসমিন সুলতানাকে(৮) কোমল পানীয় এর সাথে ঘুমের বাড়ি খাওয়ায়। পরদিন ১৫ অক্টোবর ভোর চারটার দিকে হাত ও পা বেঁধে তাদেরকে একে একে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যাকারীরা ওই পরিবারের ৪ মাসের শিশু মারিয়াকে হত্যা না করে লাশের পাশে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহত শাহীনুরের শ্বাশুড়ি কলারোয়া উপজেলার উফাপুর গ্রামের রাশেদ গাজীর স্ত্রী ময়না খাতুন বাদি হয়ে কারো নাম উলে-খ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে সিআইডি সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে শাহীনুরের ভাইর রায়হানুর রহমান, একই গ্রামের রাজ্জাক দালাল, আব্দুল মালেক ও ধানঘরা গ্রামের আসাদুল সরদারকে গ্রেপ্তার করে।