কখনও দুদক কর্মকর্তা,কখনও এনএসআই এর অফিসার,কখনও ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের বিভাগীয় অফিসার,আবার কখনো প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসারের ভাগ্নে পরিচয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মুজাহিদ মোড়ল (২৫) নামের এক পেশাদার প্রতারক। সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের আশরাফ মোড়ল এর ছেলে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামে প্রতারনার শিকার আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে পুনরায় টাকা নিতে আসলে জনতার সহায়তায় সুজনসাহা বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। এনএসআই সাতক্ষীরা অফিসের ডিডি জাকির হোসেন’র নেতৃত্বে এনএসআই এর একটি টিম তাকে বেশকিছুদিন থেকে তাকে নজরে রেখেছিল। আজ তারা হাতেনাতে তাকে আটক করে। পরে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের একটি টিম এবং তালা থানা পুলিশ প্রতারক মুজাহিদকে তালা থানায় নেন। এছাড়া ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এজেন্ট হিসেবে সে কাজ করে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের নিছার আলী সরদারের ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০) জানান, প্রতারক মোজাহিদ এনএসআই পরিচয় দিয়ে প্রায় এক বছর ধরে চাকরী, বাড়ী কিনে দেওয়া ও বিদেশ পাঠানো এবং হজে পাঠানোর কথা বলে আমি আমার ভাই শাহিনুর ও ইসলামকাটি গ্রামের দেলবার আলীর ছেলে শফিকুল এর নিকট থেকে চার কিস্তিতে ১৩ লাখ নিয়েছে। এছাড়া ডুমুরিয়া এলাকার রোস্তম মোল্লার পুত্র হালিম মোল্যা, ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া গ্রামের গফুর শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল, একই গ্রামের এজাহার আলীর পুত্র গণি মোল্যা এই তিন জনের নিকট থেকে ২৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক মুজাহিদ।
এদিকে থানায় নিয়ে মুজাহিদকে ডিবি পুলিশ, এনএসআই এবং থানা পুলিশ যৌথভাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারনার অনেক কথা এবং বিদেশী প্রতারকদের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, প্রতারক মুজাহিদ কে জিঙ্গাসাবাদ চলছে। জিঙ্গাসাবাদ শেষে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।