শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মাগুরায় পুলিশের অভিযানে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক তিন মহম্মদপুরে ৩২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে আটক ১ মহম্মদপুরে দেশীয় অস্ত্র সহ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার শ্রীপুরে বিশেষ আয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটের বাৎসরিক আনন্দ ভ্রমণ শেষ পৌষের কনকনে শীতে কাঁপছে মাগুরা! মাগুরার মহম্মদপুরে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বড়রিয়ার মেলা শুরু! মাগুরার শ্রীপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০ (দশ) কেজি গাজা উদ্ধার। মাগুরার জনগণ নির্বিঘ্নে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবে – পুলিশ সুপার মাগুরায় জমে উঠেছে ফুটপাতের শীতের পিঠা! মাগুরা মহম্মদপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল আসামী গ্রেফতার” মহম্মদপুরে আপন দুই ভাইয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার আটক-২ মাগুরায় ব্রিজের নিচে হতে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের রহস্য উদঘাটন সহ মূল আসামি গ্রেফতার। ঝরে পড়া ৩০ শিশুকে স্কুলে ফেরাল জেলা প্রশাসক মাগুরা শালিখায় অসহায়, দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে “এক পেট আহার অত:পর হাসি” এর পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ মাগুরার মহম্মদপুরে পুজা মন্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান বিতরণ মাগুরা জেলার তিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগনের বিদায় এবং সদ্য তিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগনের যোগদান উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নির্বাচন ইসলামী ব্যাংক কামারখালী বাজার আউটলেটের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

আজ পয়লা ‘কার্তিক’ বদলে গেলো বাংলা দিনপঞ্জি

মাগুরার কথা ডেক্স / ৫০৯ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৩২ অপরাহ্ন

ঝিনুক টিভি ডেস্ক-

বদলে গেছে বাংলা দিনপঞ্জি। চলতি ১৪২৬ বঙ্গাব্দে প্রথমবারের মতো গতকাল বুধবার আশ্বিন মাসের গণনা শুরু হয়েছে ৩১ দিন হিসাবে। বাংলা একাডেমি দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বাংলা বর্ষপঞ্জির এই সংস্কার করেছে। জাতির ইতিহাসের গৌরবময় দিনগুলো বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে অভিন্ন তারিখে সমন্বয় করতেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে এই সংস্কার আনা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি জানায়, নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন—এই ছয় মাসের হিসাব হবে ৩১ দিনে।(এত দিন বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত পাঁচ মাস ৩১ দিন হিসাবে গণনা হতো)। কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র—এই পাঁচ মাস হবে ৩০ দিন (আগে আশ্বিন থেকে চৈত্র—এই সাত মাস ৩০ দিন ছিল)। এখন ফাল্গুন মাস হবে ২৯ দিন এবং গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে যে বছর অধিবর্ষ হবে (লিপইয়ার) সে বছর বাংলায় ফাল্গুন মাস ৩০ দিন গণনা করা হবে। আগামী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ অধিবর্ষ, তাই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ফাল্গুন মাসও হবে ৩০ দিন।

বাংলা একাডেমির অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগের কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় দিন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন। কিন্তু সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি পড়ত ৯ ফাল্গুন। একইভাবে মহান বিজয় দিবস ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিল পয়লা পৌষ, বাংলা পঞ্জিকায় দিনটি পড়ত ২ পৌষ।

কবিগুরুর জন্মদিন ২৫ বৈশাখ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন ১১ জ্যৈষ্ঠ গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির সঙ্গে মিলত না। এই বিশৃঙ্খলা দূর করে দুই বর্ষপঞ্জির মধ্যে দিন গণনার সমন্বয় করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুন, স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ১২ চৈত্র, বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পয়লা পৌষ, রবীন্দ্রজয়ন্তী ৮ মে ২৫ বৈশাখ, নজরুলজয়ন্তী ২৫ মে ১১ জ্যৈষ্ঠ—এমন করে সব বিশেষ দিবস বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির দিন গণনায় অভিন্ন হবে।

বাংলা দিনপঞ্জির বিজ্ঞানভিত্তিক সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ১৯৫০–এর দশকে। ভারত সরকার স্বনামখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে প্রধান করে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি করা হয়। এই কমিটি বাংলা ও গ্রেগরিয়ান দিনপঞ্জির সমন্বয় করে। ২০১৯ সালের সরকারি গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকায় ১৪২৫-১৪২৬ সালের নতুন সুপারিশ করা বাংলা সনের তারিখ সমন্বয় করা হয়। সে অনুসারে সরকারি দিনপঞ্জিকায় গতকাল ১৬ অক্টোবর ৩১ আশ্বিন উল্লেখ করা হয়েছে। আজ ১৭ অক্টোবর পয়লা কার্তিক।

বাংলা দিনপঞ্জিকার এই সংস্কার সম্পর্কে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বহুদিন থেকেই দিনপঞ্জির সংস্কারের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। আমরা বিজ্ঞান ভিত্তিতে এই সংস্কার করেছি। কিন্তু ভারতে এটা করা হয়নি। মেঘনাদ সাহার মতো বিজ্ঞানীর প্রস্তাব ভারত গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে দুই বাংলায় দুই রকম দিনপঞ্জির ব্যবহার হবে। আমরা আমাদের দিনপঞ্জিকার আধুনিকায়ন করে জাতীয় দিবসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে পেরেছি, এটা আমাদের একটা বড় অগ্রগতি।’


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!