রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠান মাগুরায় পুলিশের অভিযানে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক তিন মহম্মদপুরে ৩২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে আটক ১ মহম্মদপুরে দেশীয় অস্ত্র সহ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার শ্রীপুরে বিশেষ আয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটের বাৎসরিক আনন্দ ভ্রমণ শেষ পৌষের কনকনে শীতে কাঁপছে মাগুরা! মাগুরার মহম্মদপুরে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বড়রিয়ার মেলা শুরু! মাগুরার শ্রীপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০ (দশ) কেজি গাজা উদ্ধার। মাগুরার জনগণ নির্বিঘ্নে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবে – পুলিশ সুপার মাগুরায় জমে উঠেছে ফুটপাতের শীতের পিঠা! মাগুরা মহম্মদপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল আসামী গ্রেফতার” মহম্মদপুরে আপন দুই ভাইয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার আটক-২ মাগুরায় ব্রিজের নিচে হতে উদ্ধারকৃত কঙ্কালের রহস্য উদঘাটন সহ মূল আসামি গ্রেফতার। ঝরে পড়া ৩০ শিশুকে স্কুলে ফেরাল জেলা প্রশাসক মাগুরা শালিখায় অসহায়, দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে “এক পেট আহার অত:পর হাসি” এর পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ মাগুরার মহম্মদপুরে পুজা মন্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান বিতরণ মাগুরা জেলার তিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগনের বিদায় এবং সদ্য তিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগনের যোগদান উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নির্বাচন
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারে সৃষ্টি, সমাধানও মিয়ানমারের হাতে : শেখ হাসিনা

মাগুরার কথা ডেক্স / ৫৪৭ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:৫৩ অপরাহ্ন

ঝিনুক টিভি ডেস্কঃ
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় তাদের পৈতৃক নিবাসে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ নিতে হবে।

কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশনস-এ (সিএফআর) গতকাল বুধবার বিকেলে ‘এ কনভারসেশন উইথ অনারেবল প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ইন্টারঅ্যাকটিভ সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এই সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ ও তাৎক্ষণিক সমাধান চাই। মিয়ানমারই এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মানবতার ক্ষেত্রে সন্ত্রাস এবং উগ্র চরমপন্থাকে দুটি সামাজিক ব্যাধি আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সন্ত্রাস এবং উগ্র চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করছি।

‘প্রথমত, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের জোগান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের অর্থের জোগান বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে এবং চতুর্থত, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের জন্য সমান সুবিধাজনক পরিস্থিতি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’

মিয়ানমার সরকার একটি পরিকল্পিত নৃশংসতার মাধ্যমে উত্তর রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিধন শুরু করে, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা) নৃশংসতা ও সন্ত্রাস থেকে পালিয়েছিল। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমান্ত খুলে দিই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য সাধ্যমতো সব ধরনের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি সবাইকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরগুলো পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এসব শিবির পরিদর্শনে এসে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা রোহিঙ্গাদের নিধনযজ্ঞের বিভিন্ন নৃশংস ঘটনা শুনলে আপনারা কেঁপে উঠবেন। আমি এও বিশ্বাস করি, আপনাদের হৃদয় যন্ত্রণায় দগ্ধ হবে এবং আপনারা শিগগিরই রোহিঙ্গাদের এসব বেদনাদায়ক পরিস্থিতির অবসান চাইবেন।’

আমিও শরণার্থী হয়ে পড়েছিলাম, ছয় বছর স্বৈরশাসক জিয়া দেশে ফিরতে দেয়নি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নৃশংসভাবে হত্যার পর আমি নিজেও শরণার্থী হয়ে পড়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেবল আমি এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। প্রায় ছয়টি বছর তৎকালীন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে ফিরতে দেয়নি। যে কারণে, ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ রিপোর্ট-২০১৯-এ বাংলাদেশ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি এবং পিপিপি হিসেবে বিশ্বের ৩০তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ হচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ।

কিছু লোক দেশে না ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের প্ররোচিত করেছে
পরে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, তৈরি পোশাক খাতের অবস্থা, খাদ্যনিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই আলোচনা প্রক্রিয়ায় সমর্থন জানিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে যে রোহিঙ্গারা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে বলে দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মিয়ানমার ১৯৮২ সালে তাদের সংবিধান পরিবর্তন করে। সংবিধানে তারা রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ না করে তাদের বহিরাগত বলে অভিহিত করেছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সংলাপ শুরু করে। একপর্যায়ে মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবিরের কিছু লোক দেশে ফিরে না যেতে তাদের প্ররোচিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের সব সংস্থা ও অন্যান্য সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় কাজ করছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের উচিত এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে গিয়ে তাদের নিজ ভূমিতে বসবাস করতে পারে। অন্যদিকে, জোর করে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি দ্বীপের উন্নয়ন করে সেখানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে ঘরবাড়ি, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্য মজুত রাখার গুদামঘর নির্মাণ করেছে। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ভাসান চর নামের এই দ্বীপে তাদের স্থানান্তর করতে পারি, তাহলে কিছু লোক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে এবং তাদের শিশুরা শিক্ষা সুবিধা পাবে।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমার ধারণা হয়েছে যে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন চায় না এসব লোক তাদের দেশে ফিরে যাক। তারা (সংগঠনগুলো) রোহিঙ্গাদের আটকানোর চেষ্টা করছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ, সিএফআর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এন. হাস এবং সিএফআরের সম্মানিত সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!